মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক - মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

মসুর ডালের উপকারিতা, মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক, মসুর ডাল খেলে কি গ্যাস হয়, মসুর ডাল খেলে কি মোটা হয়, মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, আপনি যদি মসুরের ডাল পছন্দ করেন তাহলে অবশ্যই আপনার মনে এই প্রশ্নগুলো একবারের জন্য হলেও এসেছে। আজকে আমি এই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করব। 

মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক - মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক, মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে তো আমরা সকলেই আগ্রহী। মসুরের ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়, এবং এর পুষ্টিগুণ অনেক। এ সবগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক - মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

মসুর ডালের উপকারিতা

তরকারির মধ্যে সবচেয়ে বড় তরকারি বলা হয় মসুরের ডাল কে। মসুরের ডাল ছাড়া মনে হয় যে বাঙালির চলেই না। অনেক বাঙালি রয়েছে যারা মসুরের ডাল ছাড়া ভাত খেতে পারেন না। শুধু আমাদের দেশেই নয় এই ডাল পুরো পৃথিবীতেই একটি জনপ্রিয় খাবার। মসুরের ডাল দিয়ে তৈরি করা হয় নানা ধরনের পুষ্টিকর ও মুখরোচক খাবার। মসুরের ডালে অধিক পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, যার জন্য মাংসের বিকল্প হিসেবেও খাওয়া যায়।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে নিয়োমিত মসুর ডালের মতো উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে হার্টের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। তাছাড়া মসুর ডাল ফলেট এবং ম্যাগনেসিয়াম এর একটা বিরাট উত্স, যা হার্টকে আরও বেশি তারুন্য পেটে সহায়তা করে। মসুরের ডালের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। যেমন, খনিজ পদার্থ, আঁশ, খাদ্যশক্তি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২ ও শর্করা ইত্যাদি।

এছাড়াও মসুরের ডালে বেশ কিছু উপকারিতার রয়েছে। চলুন তাহলে সেই উপকারিতা গুলো জেনে নেই-

  • মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই কারণেই মসুর ডাল ডায়াবেটিস, স্থূলতা, ক্যান্সার এবং হৃদরোগ ইত্যাদির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • মসুর ডাল খারাপ কোলেস্টেরলকে কমিয়ে বাড়িয়ে দেয় ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ।
  • মসুর ডালে উচ্চ মাত্রার এটা দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা রক্তের কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের কলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দিয়ে ধমনীকে পরিষ্কার রাখে।
  • মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ রয়েছে। ফলে এটি হজমে সহায়তা করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার।
  • মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি করতে এটি অধিক সহায়তা করে। আপনি যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনি নিয়মিত মসুরের ডাল খেতে পারেন।
  • মসুর ডালের ফাইবারে আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি শরীর চিনির পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, তাছাড়া এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • মসুর ডাল খারাপ কোলেস্টেরলকে কমিয়ে বাড়িয়ে দেয় ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ।
  • মসুরের ডালে একসঙ্গে আয়রন ও ফলেট দুটিই পাওয়া যায়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য এই দুটি উপাদান বেশ প্রয়োজনীয়। সেই সঙ্গে আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক

মসুর ডাল শরীরে গাউট বা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যেহেতু মসুর ডালের ক্ষতিকর দিক অনেক তাই কোনো ব্যক্তি যদি বাতের ব্যথায় ভোগেন, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে তার মসুর ডাল ও মটরশুঁটি খাওয়া মোটেও উচিত হবে না।

প্রতিদিনের আমিষের 20 থেকে 25 ভাগ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম মসুর ডাল। এদেশের মাত্র 5 থেকে 7 শতাংশ কৃষি জমিতে এইডার উৎপাদন হয়ে থাকে তাই চাহিদা পূরণের জন্য নিতে হয় আমদানি সাহায্য। আর তখনই এর মধ্যে চলে আসে ভেজাল। অন্যান্য ডালকে বিভিন্ন রকম ভেজাল মিশিয়ে মুসুর ডাল হিসেবে বিক্রি করায় এদিকে মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন রকম ক্ষতি হচ্ছে।

এছাড়া মসুরের ডাল প্রতিনিয়ত খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি আমাদের দেহে হয়ে থাকে। চলুন তাহলে মসুরের ডালের ক্ষতিকর দিক বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই-

  • কিডনির সমস্যাঃ আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে ডাল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন, তবে এটি আপনার কিডনির ওপর সরাসরি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এ ছাড়া মসুর ডালে অক্সালেটের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এই খাবার বেশি পরিমাণে খেলে কিডনিতে পাথর তৈরি করে। এজন্য দৈনিক ৩০ থেকে ৬০ গ্রামের বেশি মসুর ডাল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • ওজন বৃদ্ধিঃ মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তাই ডায়েট লিস্টে এই খাবার তালিকাভুক্ত করলে শরীরের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। শারীরিক ব্যায়ামের অভাব হলে অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরে ফ্যাট হিসেবে জমতে শুরু করে। এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আপনি যদি পাতলা হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন।
  • হজম শক্তি কমে যাওয়াঃ মসুর ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লেকটিন। এই উপাদান শরীরের হজমশক্তিকে দুর্বল করে তোলে। যদি কোনো ব্যক্তি আইবিএস-এর মতো রোগে ভুগে থাকেন, তাহলে মসুর ডাল খাওয়ার কারণে তার স্বাস্থ্য অবস্থার আরও খারাপ হতে পারে।
  • গ্যাস বা এসিডিটিঃ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে ডাল খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা তৈরি হতে পারে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এই খাবার গ্যাসের সমস্যা তৈরি করার পাশাপাশি তৈরি করে অ্যাসিডিটির সমস্যাও।
  • ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়ঃ মসুর ডাল শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

মসুর ডাল খেলে কি গ্যাস হয়

মসুরের ডাল শরীরের জন্য অনেক ভালো একটি উপাদান। তবে অনেকেই বলেন ডাল খেলে হজম হতে সমস্যা হয়। আবার দেখা যায় ডাল খেলে গ্যাস এসিডিটি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ডালের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়াও খনিজ এবং ফাইবার তো আছেই। নিরামিষীদের জন্য ডাল খুবই ভালো।

এখন অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে যে মসুর ডাল খেলে কি গ্যাস হয়? আমি বলব আপনার যদি হজমের সমস্যা থাকে তাহলে আপনার ডাল না খাওয়াই উত্তম হবে। কেননা মসুরের ডাল খাওয়ার পরে যদি হজম করতে না পারেন তাহলে গ্যাস বা এসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কারও কারও মসুর ডাল খেলে পেট ফুলে যাওয়া সমস্যা বাড়তে থাকে। প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট এবং খনিজ সমৃদ্ধ, মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা গ্যাস সৃষ্টি করে। পেট ফোলার সমস্যা থাকলে মসুর ডাল এড়িয়ে চলুন।

আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে উপরে জেনে গেছেন মসুরের ডালের উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিক।এখন সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার হজম ক্ষমতার ওপর আপনার যদি হজম ক্ষমতা বেশি হয় তাহলে আপনি মুসুরির ডাল খেতে পারেন কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি আপনার হজম ক্ষমতা কম হয়, তাহলে মসুরের ডাল এড়িয়ে উত্তম, আমি মনে করি।

মসুর ডাল খেলে কি মোটা হয়

মসুরের ডাল বাঙালির প্রিয় খাবারের মধ্যে একটি। আমরা বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানেও মুশুরের ডাল রাখি।কেননা বড় তরকারি হিসেবে আমরা ডালকেই বুঝি, এই জন্য বাঙালির উৎসবেও মসুরের ডাল থাকে।আর মসুরের ডাল খেতে পছন্দ করে না এমন লোক খুবই কমই রয়েছেন।

এখন সকলের মনে একটি প্রশ্ন মসুরের ডাল খেলে কি মোটা হয়? হ্যাঁ মসুরের ডাল খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে সেই সঙ্গে আপনি মোটাও হবেন। এখন আমাদের মধ্যে যারা একটু রোগা পাতলা রয়েছি তাদের যদি হজমের কোন সমস্যা না থাকে তাহলে নিয়মিত মসুরের ডাউল খেতে পারেন।

আপনি যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি মুসুরের ডাল খাবেন। কারন ডালে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন থাকে যা দৈহিক বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। একে বলা হয় গরীবের মাংস। তিন প্রকার ডাল একত্রে খেতে পারলে সবচেয়ে বেশী ভাল কারন এতে দেহের যতরকম প্রোটিন লাগে তার সবই পাওয়া যায়।

আর মসুরের ডালের আরও উপকারিতা আমরা উপরে তো বর্ণনা করে দিয়েছি আপনি হয়তো ইতিমধ্যে জেনেও গেছেন। সুতরাং আপনি যদি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনি অবশ্যই মুসুরের ডাল খাবেন। তবে প্রতিদিনের খাবারের ক্ষেত্রে একটু লক্ষ্য রাখবেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবেন না।

মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

এতক্ষণ তো আমরা জানলাম যে মসুরের ডাল খেতে কতটা সুস্বাদু এবং এর উপকারিতা সেইসঙ্গে আমরা জেনেছি এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো মুশুরের ডাল দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়। শুনে হয়তো একটু অবাক হচ্ছেন, মুসুরের ডাল দিয়ে আবার কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়।

ত্বকের যত্নে যুগ যুগ ধরে রূপচর্চার অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মসুর ডাল। ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও বলিরেখা দূর করতে মসুর ডাল দুর্দান্ত কার্যকরী। একইসঙ্গে এটি ব্যবহারে ত্বক হয় আরও ফর্সা ও কোমল।

আমরা অনেকেই জানি মসুরের ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়া যায় বা মসুরের ডাল দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। কিন্তু আমরা জানি না মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়। আজকে আমি আপনাদেরকে মসুরের ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানিয়ে দেবো। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নিই মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়-

  • ত্বকের মৃত কোষ দূর করেঃ ত্বকের উপরের অংশে জমে থাকা মৃত কোষের স্তর সরিয়ে ত্বককে প্রাণবন্ত করে তুলতে সাহায্য করে মসুর ডালের ফেসপ্যাক । পরিমাণ মতো মসুর ডালের পাউডারের সঙ্গে অল্প পরিমাণ দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দুইবার। এতে ত্বকের মৃত কোষ দূর হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতেও সাহায্য করে মসুর ডালের ফেসপ্যাক।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ অল্প সময়ে ত্বককে উজ্জ্বল, ফর্সা এবং প্রাণবন্ত করে তুলতে মসুর ডালের অত্যন্ত কার্যকারী। ৫০ গ্রাম মসুর ডালকে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে উঠে জলটা ছেঁকে নিয়ে ডালটা বেটে নিতে হবে। তারপর বাটা ডালের সঙ্গে ১ চামচ কাঁচা দুধ এবং পরিমাণ মতো বাদাম তেল মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর পেস্টটি ভাল করে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফলতে হবে মুখটা।
  • মসুরের ডালের ফেসওয়াশঃ বিদেশি প্রোডাক্ট ইউজ করে বা কৃত্রিম ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বকের অবস্থা খারাপ না করে, মুশুরের ডাল দিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করতে পারেন। এতে স্কিন টোনেরও উন্নতি ঘটে এবং ত্বককে রাখে উজ্জ্বল ও সতেজ। এক্ষেত্রে, এক চামচ মসুর ডালের পাউডারের সঙ্গে ২ চামচ দুধ, অল্প পরিমাণে হলুদ এবং ৩ ড্রপ নারকেল তেল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণটি সারা মুখে লাগিয়ে ২ মিনিট হালকা হাতে স্ক্রাব করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • ড্রাই স্কিন সমসসা দূর করতেঃ ত্বকের শুষ্কতা নিয়ে সমস্যায় ভুগলে উপকার করবে মসুর ডাল। সেজন্য সমপরিমাণ মসুর ডাল ও গাঁদা ফুল একসঙ্গে বেটে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর সেটি অন্তত ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এই পেস্টটি ত্বকের শুষ্কতার পাশাপাশি ত্বককে কোমল করতে ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের লোম দূর করতেঃ নারীর মুখে অবাঞ্ছিত লোম থাকলে দেখতে খারাপ লাগে। অনেক নারীই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। মুখে অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন মসুর ডালের ফেসপ্যাক। সেজন্য ১ চা চামচ মসুর ডালের গুঁড়ার সঙ্গে ১ চা চামচ চালের গুঁড়া, ১ চা চামচ দুধ ও ১ চা চামচ বাদাম তেল যোগ করে সবগুলো উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি মিনিট পাঁচেকের মত মুখে রেখে দিতে হবে। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

এছাড়াও মসুরের ডাল দিয়ে বিভিন্নভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। চলুন মসুরের ডাল দিয়ে কিভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করবেন সেই সেই টিপস আপনাদেরকে বলে দিই-

  • সাধারণ ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এক টেবিল চামচ মুসুর ডাল বাটার সঙ্গে ২ টেবিল চামচ দুধ, এক চিমটি হলুদ ও কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিন।
  • শুষ্ক ত্বকের জন্য ৫০ গ্রাম মসুর ডাল ভিজিয়ে রেখে বেটে নিন। এর সঙ্গে এক চা চামচ দুধ আর এক চা চামচ আমন্ড অয়েল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
  • সেনসিটিভ ত্বকের জন্য এক টেবিল চামচ মসুর ডাল বাটার সঙ্গে সমপরিমাণ আমন্ড অয়েল, গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

সবশেষে বলা যায় যে মসুরের ডাল একটি অত্যান্ত উপকারী উপাদান। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ। সেইসঙ্গে এটি রূপচর্চার জন্য ফেসপ্যাক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। তবে আপনার যদি হজমের সমস্যা থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খাবেন। কথায় আছে না প্রয়োজনে যে কোন কিছুই ভালো না। ঠিক তেমনি ভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবেন না, ধন্যবাদ এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url