চা খাওয়ার উপকারিতা - চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক

আমরা বাঙালিরা বসে আড্ডা দেবো আর চা হবে না এটা কখনো হয়না। আমরা রাস্তা-ঘাটে, অফিস-আদালতে, বাসা-বাড়িতে চায়ের আড্ডা তেই বেশি মেতে উঠি। চা আসলেই আমাদের একটি প্রিয় পানীয়। আপনি কি চা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন বা চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে কি জানেন।

চা খাওয়ার উপকারিতা - চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক

আজকে আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো চা খাওয়ার উপকারিতা কি এবং সেই সাথে জানতে পারবেন চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক, এছাড়াও আরো জানতে পারবেন কোন চায় কোন উপকারিতা পাওয়া যায়। তাছাড়াও বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন যে দুধ চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক কি। এ সকল বিষয়ে জানতে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

চা খাওয়ার উপকারিতা

চা খাওয়া কি শুধুই অভ্যাস? নাকি চা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। অনেকেই ধারণা করেন চা খাওয়ার কোন উপকারিতা নেই। আসলে আপনার এই ধারণা সঠিক নয়। আপনি যদি নিয়মিত চা খান তাহলে আপনি অনেক উপকার পাবেন। চা খাওয়ার অভ্যেস মোটেই ক্ষতিকর নয়। তবে তা খেতে হবে পরিমিত। জেনে নিন নিয়মিত চা খাওয়ার উপকারিতা-

  • মাইগ্রেন কমায়ঃ মাইগ্রেন একবার দেখা দিলে কখনো সেটি আর পুরোপুরি সারে না। এই সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের খাবারের বিষয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কেননা কিছু কিছু খাবারের জন্য মাইগ্রেন বেড়ে যেতে পারে। আবার কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো মাইগ্রেন কমাতে সহায়তা করে। চা মাইগ্রেন কমাতে বেশ উপকারী কেননা এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যার ফলে চা খেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়।
  • চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ যে কোন অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আপনি যদি নিয়মিত পরিমাপ মতো চা পান করেন তাহলে এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও আপনি নিয়মিত চা পান করলে আপনি নানা ধরনের অসুখ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
  • ব্যথা দূর করেঃ শরীরে কোথাও আঘাত পাওয়ার কারণে যদি ব্যাথা লাগে সেই ব্যথা দূর করতে মধু চা অত্যন্ত কার্যকারী। আপনি যদি কোন ভাবে আঘাত পেয়ে থাকেন এবং আপনার শরীরে যদি ব্যথা হয় তাহলে আপনি এক কাপ মধু চা খেয়ে নিন। এতে করে আপনার ব্যথা খুব দ্রুত কমে যাবে। আমাদের শরীরের সৃষ্ট প্রদাহ দূর করতে মধু চা অত্যন্ত কার্যকরী।
  • নার্ভ শান্ত করেঃ নার্ভ কে শান্ত রাখতে চা বিশেষভাবে কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান মস্তিষ্কে রক্ত অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করে, যার কারণে চা খেলে নার্ভ শান্ত হয়। এছাড়াও নিয়মিত চা পান করলে মানসিকো শারীরিক ক্লান্তি অনেকটাই দূর হয়ে যায়। এজন্যই দেখবেন মানসিক চাপ কমাতে অনেকেই এক কাপ করে চা খায়।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করেঃ মরণব্যাধি অসুখ ক্যান্সার থেকে বাঁচাতে চা আপনাকে সহায়তা করবে। বিভিন্ন গবেষণায় এটাই প্রমাণিত হয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত গ্রিন টি খান তাহলে আপনার শরীরে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি হবে না। তাই প্রতিদিন আপনি এক থেকে দুই কাপ গ্রিন টি খেতে পারেন।
  • হার্ট ভালো রাখেঃ আপনার হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই খাবারের তালিকায় বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে। প্রতিদিন অন্তত এক কাপ চা আপনাকে এই কাজে সহায়তা করবে। লিকার চায়ে থাকে এমন কিছু এনজাইম, যা আপনার হার্টের রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে দিতে সহায়তা করে। ফলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে। অনেক বিশেষজ্ঞরা দিনে দুইবার চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
  • ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়ঃ চায়ের এন্টি অক্সিডেন্ট ও এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
  • বিভিন্ন রোগ দূর করেঃ হালকা কাশি, গলাব্যথা, ঠান্ডা জ্বর সহ বিভিন্ন রোগ দূর করতে চা বিশেষভাবে সহায়তা করে।

চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক

বাঙালিরা বসে আড্ডা দিবে আর যা হবে না, তা কখনো হয় না। ইতিমধ্যে তো আমরা চা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানলাম। উপকারিতা যেহেতু জানলাম তাহলে খাওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন। কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না ঠিক তেমনি চাও অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়। চলুন তাহলে জেনে নিন চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক-

  • মাথা ব্যথাঃ চা যেমন মাথা দূর করতে পারে ঠিক তেমনি এটি মাথাব্যথাও বাড়িয়ে দিতে পারে। কেননা চায়ের মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন। আর অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে মাথা ব্যথা হতে পারে।
  • ঘুমের সমস্যাঃ আপনার যদি প্রয়োজনের তুলনায় ঘুম কম হয়, যদি ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়, আর আপনি যদি চা পান করেন, তাহলে এটি আপনার ঘুম কম হওয়ার মূল কারণ। চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফেইন ঘুমের ঘাটের জন্য দায়ী। ক্যাফেইন মেলাটোনিন হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে এবং ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।
  • গর্ভ অবস্থায় সমস্যাঃ অতিরিক্ত চাপান করা মা ও তার গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর। শরীরে ক্যাফেনের উপস্থিতি বেড়ে গেলে গর্ভ অবস্থায় এর খারাপ ঝুঁকি দেখা দেয়। এই জন্য এই সময়ে ক্যাফেইন বিহীন চা খাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা এই পরামর্শই দিয়ে থাকেন।
  • বমি ভাবঃ অতিরিক্ত চা পান, বিশেষ করে দুধ চা বমি বমি ভাব সৃষ্টি করে। এছাড়া অতিরিক্ত দুধ চা পান করলে পেট ফোলা ভাব, অসস্তি এবং পেটব্যথা বেশি হয়।
  • অস্থিরতা বৃদ্ধি করেঃ অতিরিক্ত চাপান মানসিক চাপ উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি করে। অতিরিক্ত ক্যাফেন গ্রহণের ফলে অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। শরীরের অস্থিরতা কমাতে চাইলে চা পানের পরিমাণ কমে দিতে হবে।যদি এটা করতে না পারেন তাহলে ক্যাফেইন বিহীন চা পান করতে হবে। যেমন- গ্রিন টি বা ক্যামোমাইল চা পান করতে পারেন।
  • শরীরে আয়রন শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়ঃ চায়ের মধ্যে পাওয়া ক্যানিন প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করলে শরীরের আয়রন সুসে নেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চা আয়রন শোষণের ক্ষমতা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে। যাদের এমনিতে আয়রনের ঘাটতি আছে তাদের এক্ষেত্রে আরো সমস্যা হতে পারে।
  • মাথা ঘোরাঃ চা এমনিতে মাথা ব্যাথা কমালেও অতিরিক্ত চা পান করলে মাথা ঘোরাতে পারে। দিনে ৪০০-৫০০ মিলিগ্রামেরও বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করলে এমন হতে পারে।

চা খাওয়ার সঠিক সময়

আমরা বাঙালিরা চা যে কোন মুহূর্তে যে কোন সময় খেয়ে থাকি। কিন্তু যে কোন সময় চা খাওয়া কি আমাদের শরীরের জন্য সঠিক এ বিষয়ে আমরা কেউ খেয়াল রাখি না। কিন্তু অসময়ে চা খেলে আমাদের শরীরে মারাত্মক রকমের ক্ষতি হতে পারে তা আমরা কেউই বুঝিনা। এজন্য আমাদের জানা প্রয়োজন চা খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি।

অনেক বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন খাবার খাওয়ার অন্তত একঘন্টা পর চা অথবা কফি খেলে সেটা শরীরের জন্য উপকারী। তবে চায়ের প্রতি নেশায় আসক্ত হয়ে কাপের পর কাপ খাওয়া যাবে না।পরিমাপ মতো খেতে হবে। আপনি যদি রোজ দুই কাপ চা নিয়ম করে খান তাহলে সেটি আপনার শরীরের জন্য অবিশ্বাস্য কার্যকারী হবে।

কিন্তু আপনি যদি এর বেশি নেশা করে খান তাহলে আপনার নানা রকমের সমস্যা হবে বা ক্ষতি হবে। আর আপনারা তো ইতিমধ্যে জেনেই গেছেন চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক। আশা করি আপনি একজন সচেতন ব্যক্তি হলে আপনি অবশ্যই চা নিয়ম মতো খাবেন। এসব বিষয়ে কখনো অনিয়ম করবেন না।

আদা চা এর উপকারিতা

আমরা তো ইতিমধ্যে চা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। আমরা বিভিন্ন ধরনের চা খেয়ে থাকি আদা চা, রং চা, দুধ চা, লেবু চা, ইত্যাদি ইত্যাদি। এ সব ধরনের চায়ের আলাদা আলাদা নিজস্ব কিছু গুণ রয়েছে বা উপকারিতা রয়েছে। তো কোন চায়ের কোন উপকারিতা সেটা তো জানা প্রয়োজন।

একটু খেয়াল করলে দেখা যায় প্রতিটি চায়ের স্টলে কিংবা বাড়িতে একটি চা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় আর সেটি হল আদা চা। আমরা অনেকেই আদা চায়ের উপকারিতা জানি আবার অনেকে জানিনা। জেনে না জেনেই আমরা সকলেই আদা চা খেয়ে থাকি। আমি জানলে অবাক হবেন আধা চায়ের বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে। চলুন তাহলে দেরি না করে সে উপকারিতা গুলো কি তা জেনে নেই-

  • শরীরের আদ্রতা বজায় রাখেঃ গ্রীষ্মকালে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে আদা চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্রীষ্মকালে আপনি ক্যাফেইন যুক্ত পানি এর বিপরীতে আদা চা চাপ পান করতে পারেন। আদা চা তৃষ্ণা মেটানোর সাথে সাথে পানির ঘাটতিও পূরণ করে।
  • ত্বকের জন্য উপকারীঃ আদা চা উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত। এটি ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি তত্ত্ব পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর রাখে।
  • শরীর ঠান্ডা রাখেঃ আদার প্রাকৃতিক শীতল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ঘাম কে উদ্দীপিত করে, যার ফলে শরীর ঠান্ডা থাকে। আদা চা শরীরের তাপমাত্রার হালকা বৃদ্ধি করতে পারে, যা শরীরের প্রাকৃতিক শীতল প্রক্রিয়াকে প্ররোচিত করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ আদার প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা গরমের সময়ে সর্দি এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও আদা চা শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে।
  • পেটের সমস্যা দূর করেঃ গরমের সময় যদি একটু বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় বা কোন দাওয়াতের বাড়িতে যদি একটু ভারী খাবার খাওয়া হয় তাহলে হজম হতে অনেক সমস্যা হয়। এই সময় হজমের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এক কাপ আদা চা। গরমের সময় খাবার খাওয়ার পরে হজমের জন্য কোমল পানিও না খেয়ে আপনি আদা চা খেতে পারেন। এটি শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
  • রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করেঃ আদার মধ্যে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এতে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা কমতে সাহায্য হয়। আদা আর্টারিতে চর্বি জমে থাকা প্রতিরোধ করে, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • ঋতুস্রাবের সমস্যায়ঃ ঋতুস্রাবের ব্যথায় প্রায় সব নারী কমবেশি ভোগেন। এ সময় আদা চা মধু দিয়ে খেতে পারেন। অনেকটা আরাম পাবেন।
  • মানসিক চাপ দূর করেঃ আদা চা এর মধ্যে এমন বিশেষ গুণ রয়েছে, যে এটি মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি অধিক দুশ্চিন্তায় থাকেন তাহলে অবশ্যই এক কাপ আদা চা খাবেন দেখবেন আপনার দুশ্চিন্তা কিছুটা হলেও কমে গিয়েছে।

লাল চা খাওয়ার উপকারিতা

চা কার না প্রিয়, বাঙালি থেকে শুরু করে ইংরেজরাও চা খেয়ে থাকে। আমরা বাঙালিরা কত রকম ভাবে চা বানিয়ে খাই। তার মধ্যে লাল চা আমাদের অনেকের পছন্দের। আমরা তো ইতিমধ্যে ওপরে জেনে গেছি আদা চায়ের উপকারিতা। লাল চা যেহেতু আমরা বেশি খেয়ে থাকি সেহেতু এটা উপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন রয়েছে।

আদা চায়েরও যেমন বিশেষ কিছু গুণ রয়েছে, ঠিক তেমনি লাল চায়েরও কিছু গুণ রয়েছে। চলুন সেই গুন বা উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই-

  • লাল চা, হজমের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে না। যদি আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে আপনি নিয়মিত লাল চা খাওয়া শুরু করুন।
  • বর্ষায় গলাব্যথা, সর্দি অনেকের লেগেই থাকে। সকালে এক কাপ গরম চা গলায় আরাম দেবে।
  • খালি পেটে চা খেলে আরও একটি উপকার হয় শরীরের। খাদ্যানালীতে জমে থাকা সব ধরনের ব্যাক্টেরিয়া দূর হয় সকাল সকাল।
  • সকাল যদি শুরু করা যায় এখ কাপ চা দিয়ে, তবে শরীর আর্দ্র থাকবে। সারা দিন অনেক খাটনিও গায়ে লাগে না।
  • হার্টের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্য বেশ কার্যকর এই পানীয়। সকালে এক কাপ লাল চা নানা ভাবে যত্ন নেয় হৃদ্‌যন্ত্রের।
  • নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আছে লাল চায়ে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই সাহায্য করে লাল চা।

দুধ চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক

দুধ চা বের হওয়ার পর থেকে আমরা দুধ চা খেতে খেতে প্রায় এটার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছি। যেমনটা মানুষ নেশার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে ঠিক তেমনিভাবে আমরা দু চার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছি। কিন্তু আমরা একবারের জন্য ভাবি না এটা আমাদের শরীরের জন্য ঠিক নাকি ক্ষতিকর।

আপনারা তো ইতিমধ্য করে চা খাওয়ার উপকারিতা জেনে গেছেন। কিন্তু দুধ চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা কি তা আমরা অনেকেই জানিনা। বিশেষ করে আমরা যারা একটু চা প্রেমী তারা প্রতিনিয়ত দুই থেকে তিন কাপ দুধ চা খেয়েই থাকি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এটি কি আমাদের জন্য খাওয়া ঠিক নাকি ক্ষতিকর।

এমনিতেও একজন সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তির দিনে দুই থেকে তিন কাপ এর বেশি চা খাওয়া উচিত না। আর দুধ চা তো দুই কাপের বেশি কখন খাওয়া উচিত না। আমরা সকলেই জানি মাত্রাতিরিক্ত চা পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, আর তার সাথে যদি দুধ ও চিনি কিংবা কনডেন্স মিল্ক যোগ করা হয় ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।

চলুন তাহলে স্পষ্ট ভাবে জেনে নেই দুধ চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক গুলো কি কি-

  • ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়
  • পেট ফাঁপা বা ব্লোটিং হয়
  • রক্তচাপ ওঠা নামা করে
  • কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দেখা দেয়
  • শরিলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়
  • অনিদ্রা দেখা দেয়
  • স্ট্রেস ও দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি করে
  • মুখে ব্রণ উঠে
  • অ্যাডিকশন বৃদ্ধি করে

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কোন চায় উপকারিতা আর কোন চায় ক্ষতি। এছাড়াও আপনারা তো উপরে জেনে গেলেন আদা চা এবং লাল চায়ের উপকারিতা। এবং শুধুমাত্র চা খাওয়ার কি উপকারিতা সে সম্পর্কেও আমরা উপরে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি দুধ চা বর্জন করবেন এবং আদা চা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন। সব সময় ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর আমাদের সঙ্গে থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url