চোখের যত্ন নেয়ার উপায় - চোখের সমস্যা বোঝার উপায়

আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ইন্দ্রিয়র মধ্যে চোখ হচ্ছে একটি অন্যতম সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।সারাটা দিন চোখের ওপর নানা ধরনের চাপ পড়ে এজন্য চোখের আলাদা করে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।তাই আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে চোখের যত্ন নিবেন সেই সাথে জানবেন চোখের সমস্যা বোঝার উপায় গুলো কি কি।

চোখের যত্ন নেয়ার উপায় - চোখের সমস্যা বোঝার উপায়

এছাড়াও আজকে চোখের আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। যেমন- কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের সমস্যা হয়, কোন খাবার চোখের জন্য ক্ষতিকর, চোখের জন্য উপকারী ফল, চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায়, চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার দোয়া এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পৌষটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্র

চোখের যত্ন নেয়ার উপায়

আমাদের শরীরের অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো চোখ। চোখ ছাড়া আমরা এই দুনিয়ার কোন কিছুই দেখতে পেতাম না। একবার ভাবুন তো আপনার যদি চোখ না থাকে তাহলে আপনার চলাফেরায় কতটা সমস্যা হবে। ভাবলে কেমন যেন অবাক লাগে। তাই সব ধরনের ঝুঁকি এবং বিপদ থেকে এই বিশেষ অঙ্গটিকে নিরাপদ রাখতে হবে।

যেহেতু চোখ আমাদের শরীরের সবথেকে সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, তাই হেনোতেন ভাবে চোখের যত্ন নেওয়া যাবে না। চোখের যত্ন নিতে এর বিশেষ কিছু নিয়ম জানা থাকতে হবে। আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো চোখের যত্ন নেওয়ার উপায়-

  • চোখের পেশির রক্ত সরবরাহ সচল রাখতে দুই হাতের তালু কয়েক মিনিট ঘষে আলতোভাবে হাতের তালু দিয়ে আলাদা ভাবে চোখ বন্ধ রাখুন ১০ সেকেন্ড ।
  • রাতে ঘুমানোর সময় চোখ বন্ধ করে চোখের পাতা আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ২ মিনিট ম্যাসাজ করবেন।
  • চোখের ক্লান্তি দূর ও পেশি শক্তিশালী করতে ক্লকওয়াইজ ও এন্টি ক্লকওয়াইজ চোখের মণি ঘুরিয়ে চোখের ১০ সেকেন্ড ব্যায়াম করবেন।
  • হাইড্রেশন চোখের যত্নের জন্য এবং সামগ্রিকভাবে শরীরের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। হাইড্রেশনের অভাবে আপনার চোখ ডুবে, বিবর্ণ বা ফাঁপা হয়ে যেতে পারে।
  • ধূমপান আপনার বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ছানির মতো অবস্থার মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান অপটিক স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে। ধূমপানের ফলে চোখ শুষ্ক হতে পারে।
  • বৈদ্যুতিক পর্দার ‘ব্রাইটনেস’, ‘রেজোল্যুশন’, ‘কনট্রাস্ট’ এগুলোর মাত্রা পরিবর্তন করে তা চোখের জন্য সহায়ক করতে জানতে হবে। কড়া রোদে বৈদ্যুতিক পর্দা ব্যবহার থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন একবার হলেও ডিভাইসের স্ক্রিন পরিষ্কার করতে হবে, যাতে দেখা সহজ হয়।
  • আর্দ্রতাবিহীন বাতাস থেকে চোখ দুটি দূরে রাখুন। শুকনো বাতাস চোখের বাষ্প শুষে নেয়। তাই এয়ারকন্ডিশনারের বাতাস থেকে চোখ আগলে রাখা উচিত।
  • চোখের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়াতে ঘরের সব ছোটখাট বস্তুগুলোর দিকে হালকাভাবে একটার পর একটাতে দৃষ্টি বুলাতে থাকুন।
  • এক হাত দূরে একটি কলম নিয়ে সোজা কলমটির দিকে তাকিয়ে থাকুন তারপর ধীরে ধীরে কলমটিকে কাছাকাছি নিয়ে আসেন যতক্ষণ পর্যন্ত না কলমটিকে ঘোলাটে দেখা যায়। এরপর আবারও কলমটিকে ধীরে ধীরে কাছে থেকে দূরে নিয়ে যান এবং খেয়াল রাখবেন চোখের দৃষ্টি যেন কলমের দিকে থাকে।
  • আপনার শরীরের অন্যান্য অংশের মতো আপনার চোখেরও বিশ্রাম প্রয়োজন। তাই আপনার চোখ সুস্থ রাখতে প্রতি রাতে পর্যাপ্ত ঘুম দিবেন।

চোখের সমস্যা বোঝার উপায়

বর্তমান সময়ে আমরা হাতের মুঠোফোন এবং কম্পিউটার বা ল্যাপটপের স্কিনের সামনে বসে থাকতে থাকতে আমাদের চোখকে খুব দ্রুত নষ্ট করে ফেলতেছি। ছোট থেকে বড়, বড় থেকে বৃদ্ধ সব ধরনের মানুষেরই চোখের সমস্যা হয়ে থাকে। আমরা তো প্রাথমিক পর্যায়ে চোখের সমস্যা গুলো বুঝতে পারি না। প্রথমে চোখের সমস্যা হলে আমরা সেটাকে গুরুত্ব না দিয়ে সেভাবেই থেকে যাই।

এতে করে আমাদের চোখের সমস্যা আরো বেশি হয়। চোখে সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে যেটি বোধ হয়, তা হলো দৃষ্টি কমে যাওয়া। সাধারণত চোখ থেকে পানি পড়া, ময়লা জমা, চোখে ব্যথা বা লাল হওয়া এসব উপসর্গের ভিত্তিতে চোখের সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। চলুন তাহলে এবার এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই-

  • চোখে রক্ত জমাট বাধাঃ চোখে বিভিন্ন সমস্যার কারণে কিছুটা বড় আকারে রক্ত জমাট বাঁধার মত চিহ্ন দেখা যায়। এটি হতে পারে আপনার মারাত্মক কাশি থেকে শুরু করে ফাঙ্গাস সংক্রমণের কারণেও।
  • চোখে লাল দাগঃ চোখের সাদা অংশে যদি বিন্দু বিন্দু রক্ত জমে লাল দাগ তৈরি হয় তাহলে তা একদমই অবহেলা করবেন না। এটি হতে পারে ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এছাড়াও হতে পারে সিডিসির একটি লক্ষণ, যা বর্তমান সময়ে প্রচুর মানুষের হয়ে থাকে।
  • কাছের জিনিস দেখতে সমস্যাঃ বর্তমান সময়ে কম বেশি সকল বয়সী মানুষেরই এই সমস্যাটা হয়। তারপরেও যাদের বয়স একটু বাড়ে তাদের এই সমস্যাটা আরো বেশি হয়। তবে যদি সঠিক সময়ে ঠিকঠাক ব্যবস্থা নেন তাহলে একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে দীর্ঘদিন আটকে রাখা যায়। কিছু এন্টিবেইটিক ওষুধের পার্শ্ব প্রক্রিয়াতেও এ সমস্যা হতে পারে।
  • চোখে ব্যথাঃ চোখের সামান্যতম ব্যথার মতো সমস্যায়ও চিকিৎসক দেখিয়ে নেওয়া ভালো। কারণ চোখের ডাক্তাররা বিভিন্ন লক্ষণ দেখে আগে থেকেই কয়েক ধরনের ক্যান্সার নির্ণয় করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্রেন টিউমার। আপনি আয়নায় দেখে কোনোভাবেই এ লক্ষণগুলো বুঝতে পারবেন না।
  • ঝাপসা দৃষ্টিঃ চোখের নানা সমস্যার কারণে দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি রয়েছে, তাদের এ সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
  • সাদা বৃত্তঃ চোখের চারপাশে যদি সাদা বা হলদেটে বৃত্ত দেখা যায় তাহলে তা কোলেসটেরলের একটি লক্ষণ। এমনটা দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
  • ঘন ঘন মাথা ব্যথাঃ ঘন ঘন মাথাব্যথার কারণে গুরুতর কিছু হতে পারে। এজন্য মাথাব্যথা হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এছাড়া চোখে ড্রাই সিনড্রম থাকলে পানিপড়া সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যা সমাধানে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখে আই ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।

কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের সমস্যা হয়

বয়সের একটা পর্যায়ে গিয়ে চোখের সমস্যায় আমাদের সকলকেই ভুগতে হয়। কিন্তু বয়সকালে আমরা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন শরীরের গ্রহণ করে থাকি তাহলে কিছুটা হলেও চোখের সমস্যা এড়ানো যায়। কিন্তু আমরা বয়সকালে চোখভালো রয়েছে বলে চোখের কোন যত্নই নেই না। আমরা খেয়ালই করি না চোখের জন্য কোন ভিটামিন প্রয়োজন।

আমাদের শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে প্রথমে তা জানান দেবে আপনার চোখে।চোখের নিচে কালি পড়া ছাড়াও বেশ কিছু লক্ষণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে।

ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দূর করতে নিয়মিত বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে ২০ মিনিট সূর্যস্নান করুন। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণে সবচেয়ে সহজ আর দ্রুত কাজ করে এ উপায়।

চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, যাকে রেটিনলও বলা হয়। এটি চোখের আর্দ্র রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং আপনার কর্নিয়ার পৃষ্ঠকে রক্ষা করে।

ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। এ কথা তো আমরা কম বেশি সকলেই জানি। তাই আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ থাকা দরকার। রেটিনাকে অবক্ষয়ের বিরুদ্ধেও রক্ষা করে, তাই দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য ভিটামিন এ প্রয়োজনীয় ভিটামিন।

কোন খাবার চোখের জন্য ক্ষতিকর

বিশেষজ্ঞরা বলছেন বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দৃষ্টিশক্তি খারাপ হতে থাকে। কারো যদি ডায়েট ঠিকঠাক না থাকে তাহলে কমতে পারে দৃষ্টিশক্তি। সম্প্রতি এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে চারটি জিনিস দৃষ্টিশক্তিকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে তা দৃষ্টিহীনতাতেও পরিণত হতে পারে।

তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিয়ে কোন খাবার চোখের জন্য ক্ষতিকর বা কোন জিনিস চোখের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল করে দেয়-

ফিল গুড কন্টাক্টস-এর কন্টাক্ট লেন্স অপটিশিয়ান শ্যারন কোপল্যান্ড বলেন, "বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে বয়সের আগেই দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে যায়।" অতিরিক্ত মিষ্টি এবং প্রসেসড কার্বোহাইড্রেট খেলে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে।সবচেয়ে ক্ষতিকারক প্রসেসড কার্বোহাইড্রেট খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে সাদা রুটি এবং পাস্তা। এর পাশাপাশি কেচাপ ও কোল্ড ড্রিঙ্কসও দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ হতে পারে। [ক্রেডিট]

এই জিনিসগুলি দ্রুত হজম হয়, যার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং রক্তে শর্করার এই বৃদ্ধি 'বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন' বা AMD ঘটায়। এই AMD হল চোখের একটি রোগ, যা ঝাপসা দৃষ্টি, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এবং অবশেষে সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীনতার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

চোখের জন্য উপকারী ফল

সারাটা দিন চোখের উপর দিয়ে কতই না ঝড় যায়। কিন্তু চোখ আমাদের শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অংশ। যার ফলে চোখের একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। চোখের বাড়তি যত্নের জন্য আপনি চোখের জন্য কিছু উপকারী ফল খেতে পারেন। যে ফল আপনার চোখে করে তুলবে সতেজ এবং দীর্ঘদিন যাবত আপনার দৃষ্টি শক্তি তীক্ষ্ণ থাকবে।

  • কলাঃ চোখের স্বাস্থ‍্য ভাল রাখে কলা। এই ফলে থাকা পটাশিয়াম চোখের বেশ কয়েকটি সমস‍্যা দূরে রাখতে সাহায‍্য করে। ফলে নিয়ম করে যদি কলা খাওয়া যায় তাহলে আখেড়ে লাভ হয় চোখেরই।
  • সাইট্রাস জাতীয় ফলঃ ভিটামিন সি আছে এমন যেকোনও ফল চোখের জন‍্য উপকারী। এই ভিটামিন কর্নিয়ার কার্যক্ষমতা সচল রাখে। চোখের দৃষ্টি পরিষ্কার হয়।
  • বেরিজাতীয় ফলঃ স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি চোখের জন‍্য খুবই ভাল। এগুলিতে ভিটামিন সি তো আছেই, সেই সঙ্গে রয়েছে অ‍্যান্টিঅক্সিড‍্যান্টের মতো উপাদানও। চোখের খেয়াল রাখতে অতি অবশ‍্যই এই ফলগুলি খাওয়া জরুরি। [ক্রেডিট]

চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায়

চোখের দৃষ্টিকে ৬/৬ করার জন্য আপনাকে কিছু ইউনিক ব্যায়াম করতে হবে। যেগুলো হবে চোখের ব্যায়াম এবং আপনি সেগুলো ঘরে বসেই করতে পারবেন। তাহলে চলুন শিখে নিন কিভাবে ঘরে বসে চোখের ব্যায়াম করে চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করা যায়।

  • চোখের পলক ফেলুনঃ যদি আপনি খুব সহজ পদ্ধতি ফলো করে আপনার চোখের দৃষ্টি ভালো করতে চান। তাহলে আপনার জন্য সহজ একটি কাজ হলো নিয়মিত চোখের পলক ফেলতে হবে। কেননা যখন আমরা চোখের পলক ফেলি। তখন চোখ তার নিজের সুরক্ষার জন্য পানি উৎপাদন করে। আর এই পানি চোখের শুষ্কতা একবারেই দুর করে দেয়। যার প্রভাবে আপনার চোখের আর্দ্রতা ও কোমলা বিরাজমান থাকবে। যা আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক গুন সহায়তা করবে।
  • কাকেও দূরে ফোকাস রাখুনঃ আপনি একটি রুমের মধ্যে বসে আপনার দুটি হাতকে সামনের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে ফেসবুকের লাইক বাটন এর মতন করে হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলটি ধরে থাকবেন। এরপর প্রথমে আপনি আপনার রুমের জানালা দিয়ে দূরে কোন বস্তুর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকুন। এভাবে কয়েক সেকেন্ড পর্যন্ত তাকিয়ে থাকুন। তারপরে আপনি আবার আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলের দিকে তাকিয়ে থাকবেন।
  • হাতের তালু ঘষে তারপর চোখে লাগানঃ এই পদ্ধতি তে আপনাকে সবার প্রথমে হাতের তালু শক্ত করে ঘসে দিতে হবে। তারপর যখন আপনার হাতের তালু কিছুটা গরম হবে। তখন আপনাকে সেই হাতের তালু চোখের উপর আলতো করে চাপ দিতে হবে। যেন আপনার হাতের তালুতে থাকা গরমের প্রভাব আপনার চোখের মধ্যে পাওয়া যায়।

এই তিনটি উপায় আপনি বেশি বেশি অবলম্বন করবেন। এছাড়াও আপনি যদি আরও কিছু পন্থা অবলম্বন করতে চান তাহলে আপনি। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কেননা তিনি আপনার চোখের কন্ডিশন দেখে তারপরে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করতে বলবেন।

চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার দোয়া

আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে চোখ। আমাদের শরীরে অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ চোখ। আমাদের শরীরের সংবেদনশীল অঙ্গ গুলোকে ভালো রাখতে সতর্কতার পাশে বসে আল্লাহর কাছে দোয়া করা চাই।

আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আব্বাজান! আমি আপনাকে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় তিনবার বলতে শুনি ‘হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে।

আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নাই।’ তিনি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এ বাক্যগুলো দ্বারা দোয়া করতে শুনেছি। সে জন্য আমিও তার নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৯০)
দোয়াটি হচ্ছে-

اللّهمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِيْ اللَّهمَّ عَافِنِيْ فِي سَمْعِيْ اللَّهمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لَا إلهَ إلَّا أنْت

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি সাম-ই, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাসারি, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা।

বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নাই।

চোখ কি সুস্থ রাখতে এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে এই দোয়াটি আপনি সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে অবশ্যই পাঠ করবেন। এতে করে আপনার চোখ অনেক উজ্জ্বল থাকবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url