বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা - বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা ২০ পয়েন্ট

আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও বাংলাদেশের ষড়ঋতু সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখিনা। কিন্তু আমাদের প্রাইমারি জীবন থেকে শুরু করে নিয়ে কলেজ লাইফ পর্যন্ত বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা বা অনুচ্ছেদ আমাদের পাঠ্যপুস্তকে থেকে যায়। আজকে বাংলাদেশের ষড়ঋতু সম্পর্কে বিস্তারিত রচনা তৈরি করা হলো, সকল ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। আশা করি সকল ছাত্রছাত্রীরা অনেক উপকৃত হবে।

বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা - বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা ২০ পয়েন্ট


বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা - বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা ২০ পয়েন্ট

ভূমিকা: বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কবি গেয়েছেন- "কোন বনেতে জানিনে ফুল গন্ধে এ মন করে আকুল/ কোন গগনে উঠেরে চাঁদ এমন হাসি হেসে। আঁখি মেলে তোমার আলো প্রথম আমার চোখ জুড়ালো/ওই আলোতেই নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে।"

কবির বাণী সার্থক। বাংলাদেশকে প্রকৃতির সুরম্য লীলানিকেতন বললে মোটেই অত্যুক্তি হবে না। লীলাময়ী প্রকৃতি এখানে মুক্ত হস্তে সৌন্দর্য ও মাধুর্য বিতরণ করে। এ দেশে অনুপম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শাশ্বতকাল ধরে মুগ্ধ কবিচিত্তে সংগীতের উৎসধারাকে উৎসারিত করছে-ভাবুকের হৃদয়ে অনির্বচনীয় ভাবের হিল্লোল তুলেছে। এ স্নিগ্ধ নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের মূলে দেখতে পাই ষড়ঋতুর বিচিত্র লীলা।

ঋতুবৈচিত্র্য: যারা বিশ্বপ্রকৃতির অনন্ত বিচিত্রতার মধ্যে নিজেকে খুঁজে পেতে চান, তাদের কাছে এ দেশের নির্মল নীলাকাশ, নদীকান্তার, পুষ্প-পল্লব, বৃক্ষ বটচ্ছায়া, সুশীতল পল্লি বীথিকার এক অপূর্ব আবেদন রয়েছে। পদ্মা, মেঘনা, গোমতি প্রভৃতি স্রোতঙ্কিনী এর বুকে চিরচঞ্চলা নটীর ন্যায় লীলায়িত ভঙ্গিতে ছুটে চলছে। বাংলাদেশ শস্য শ্যামল দেশ। 

এর দিগ্ধ তরুচ্ছায়া, বিহঙ্গের কলগীতি ও মধুর গুঞ্জন, প্রভাতের অরুণরাগ ও সায়াহ্নের স্তব্ধ গাম্ভীর্য একে প্রকৃতির লীলা-নিকেতনে পরিণত করেছে। আমরা পাখির ডাকে ঘুমিয়ে পড়ি, পাখির ডাকে জাগি। সুরের আনন্দে আমাদের ঘুমন্ত মন জেগে ওঠে। কর্মকাণ্ড দিবসের অবসানে যখন জেগে ওঠে তারকার দীপালি, প্রকৃতি তখন বধূর মতো দিবসের বেড়া ধরে সীমার পরপারে অসীমকে উপলব্ধি করে, প্রসারিত চিত্তকে গুটিয়ে অন্তিম অর্ঘ্যের মতো আপনাকে নিঃশেষে সমর্পণ করে সৃষ্টিকর্তার পদতলে। 

অরণ্য-ছায়া ও পুষ্পমঞ্জরীর এমন মাধুর্য, মানবপ্রকৃতির সাথে পশুপাখির এমন অকৃত্রিম সৌহার্দ বিশ্বে অতুলনীয়। এখানে মানুষের চেহারায় যেমন বৈচিত্র্যের সমাবেশ ঘটেছে, তেমনি প্রকৃতির মাঝেও বৈচিত্র্যের অভাব নেই। ঋতুভিত্তিক বাংলার রূপ হয় পরিবর্তিত।

গ্রীষ্ম: বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাস মিলে গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের খররৌদ্রে যে শান্ত প্রকৃতি অশান্ত দুর্দম আবেগে ফেটে পড়তে পারে, তা বাংলার কালবৈশাখী যে না দেখেছে সে বুঝবে না।

বর্ষা: আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস মিলে বর্ষাকাল। বর্ষার ধারাবর্ষণ জগতের যত কথা, আজ সব ডুবিয়ে মূক-প্রকৃতির কণ্ঠে এনে দেয় মুখরতা। চারদিকে ঝিল্লি-দাদুরীর একটানা ডাক, মেঘভারে দিকে দিকে অন্ধকার নেমে আসে। আর সেই অন্ধকারের বুকে মাবে মাঝে দেখা দেয় বিদ্যুতের ঝলক। এমনি করে অবিরল ধারাবর্ষণের মধ্য দিয়ে বিকশিত বনরাজির সজল গন্ধে বিদায় নেয় বর্ষা প্রকৃতি।

শরৎ: ভাদ্র-আশ্বিন মাস মিলে শরৎকাল। এ সময় আকাশে থাকে সাদা মেঘের ভেলা, জলে শুভ্রহংস। মানুষ শারদীয়া প্রকৃতিকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলে, "আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ/ আমরা গেঁথেছি শেফালি মালা নবীন ধানের মঞ্জরী দিয়ে/ সাজিয়ে এনেছি ডালা।"

হেমন্ত: হেমন্তে চলে ধান কাটার উৎসব। পাকা ধানের গন্ধে বাড়ির চারদিক মুখরিত হয়। কৃষাণীরা গৃহস্থালির সব কাজ ফেলে ধান ঝাড়াই-বাছাইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এ সময়ে বাংলার ঘরে ঘরে হয় নবান্ন উৎসব, চলে পিঠাপুলির নিমন্ত্রণ। শান্ত-সৌম্য ঋতু হেমন্ত।

শীত: পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীতকাল। উৎসব-প্রমত্ত ধরণীর অঙ্গে শীত বুলিয়ে দেয় তার শীতল ছোঁয়া। ধরণী জড়-বিবশ হয়ে পড়ে। ক্রমে শীত দূরে সরে যায়।

বসন্ত: ফাল্গুন ও চৈত্র মাস মিলে বসন্তকাল। মানুষের আকাঙ্ক্ষার অবসান ঘটিয়ে আসে ঋতুরাজ বসন্ত। এ সময় পাখির কল-কাকলি, কোকিলের সুমধুর কুহুতান, দক্ষিণের হাওয়া, আম্রমুকুলের গন্ধ আর ফুলের সমারোহ প্রভৃতি মিলে সৃষ্টি হয় এক অপূর্ব মায়ালোক। কবিগুরুর কথায়, "আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে এত পাখি গায়।" বারো মাসব্যাপী বাংলায় চলে ষড়ঋতুর বিচিত্র লীলা। তাই ঋতুতে ঋতুতে দোয়েল, শ্যামা ও কোকিলের মধুর স্বরে আমরা আত্মহারা যাই।

গ্রীষ্মে বাংলার প্রকৃতি: বাংলাদেশে। প্রকৃতির রূপরঙ্গশালার প্রথম গ্রীষ্ম। ঘ। গ্রীষ্মে চারদিকের মাঠ-ঘাট ধু-ধু করতে থাকে।। প্রখর অগ্নিদাহ নিয়ে আবির্ভাব ঘটে রুদ্র তাপসের। সমগ্র জীবজগৎ ও উদ্ভিদ জগতে নেমে আসে এক প্রাণহীন, রসহীন বিবর্ণতার পাড়ুর ছায়া, শ্রান্ত-ক্লান্ত পথিক হাঁপিয়ে উঠে বিশ্রাম নেয় বট-বৃক্ষের ছায়ায়। এ সময়ে প্রচন্ড তাপে ও রুক্ষতায় মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যায়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে দেশবাসী হাঁপিয়ে ওঠে।

নবযৌবন সৃষ্টিশীল বর্ষার সৌন্দর্য: গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহ দূর করতে বর্ষার আবির্ভাব ঘটে। প্রচন্ড বর্ষণে পল্লিজননীর বুকে বয়ে চলা জলের স্রোতের রূপ পরিগ্রহ করা যায়। গাছপালা বৃষ্টির জল পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠে। মৃতপ্রায় নদ-নদীগুলো আবারও জলে পরিপূর্ণ হয়ে যেন নবযৌবন লাভ করে। বর্ষা প্রকৃতির সকল শূন্যতাকে সৃষ্টিতে পরিণত করে।

শরতের শুভ্র মেঘের ভেলা: শরতের আকাশে শুভ্র মেঘের ভেলা ভেসে চলে। দেখে যেন মনে হয় কোনো সুদূর পথ পাড়ি দিয়ে বাংলার রূপকে অবিরাম সৌন্দর্যে ভরিয়ে দেবার টানে মেঘগুলো ভেসে এসেছে বাংলার আকাশে। শরতের শুভ্র মেঘ মানুষের সকল মলিনতাকে দূরে সরিয়ে মনে এনে দেয় পরম প্রশান্তি।

হেমন্তের উদারতা: হেমন্ত তার দুহাত উজাড় করে ফসলের ডালি সাজিয়ে রাখে বাংলার বুকে। এ যেন হেমন্তের পরম উদারতার পরিচয়। চারদিকে ফসল কাটা ও ফসল ঘরে তোলার ধুম পড়ে যায়। কৃষাণ-কৃষাণীদের মুখে য ফুটে ওঠে তৃপ্তির হাসি।

শীতের রূপদৃশ্য: হেমন্ত সমৃদ্ধিতে ভরে দিয়ে বিদায় নেয়। তারপর আসে শীত। শুষ্ক, কাঠিন্য ও রিক্ততায় বিষাদময় প্রতিমূর্তিতে শীতের আবির্ভাব ঘটে। এ সময় ধান কাটা মাঠে কী সীমাহীন শূন্যতা! তারপরেও মানুষের মনে থাকে আনন্দের ছোঁয়া। এ সময় ঘরে ঘরে পিঠাপুলির আয়োজন চলতে থাকে। নতুন খেজুর রসের মিষ্টি মধুর সুবাসে পল্লির আঙিনা মধুময় হয়ে ওঠে। কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে থাকে সমস্ত গ্রাম। আস্তে আস্তে সুয্যিমামা উঁকি দিতে থাকে, সাড়া পড়ে যায় জনজীবনে।

বসন্তের ফুলের সমাহার: বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র্যের মধ্যে বসন্ত ঋতুকে ঋতুরাজ বলা হয়। হরেক রকম ফুলের সমাহারে সেজে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে রাজার মতো আত্মপ্রকাশ করে ঋতুরাজ বসন্ত। চারদিকে ফুলের মধুময় সুবাস বইতে থাকে। মানব- মানবীর হৃদয়ে ভাবের দোলা লাগায় বসন্ত, পাখিরা ডালে ডালে গান গেয়ে ফেরে, মৌমাছিরা উড়ে বেড়ায় ফুলে ফুলে। সবমিলে বসন্ত যেন প্রাণিকূলকে ভাবে মাতোয়ারা করে রাখে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বনাঞ্চল ও পাহাড়: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের বাংলাদেশ। বৈচিত্র্যময় গাঙ্গেয় অববাহিকার সাগরতীরে জেগে ওঠা উর্বর পলিমাটিসমৃদ্ধ এদেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছে অসংখ্য বনাঞ্চল, এদেশের সুন্দরবনের নাম বিশ্বজুড়ে পরিচিত। সুন্দরবনের বিচিত্র জীবজন্তু মানুষকে যেমন আকৃষ্ট করে, তেমনি মনে ভীতির সৃষ্টি করে। সুন্দরবন ছাড়াও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে আকর্ষণীয় হয়ে রয়েছে ভাওয়াল ও মধুপুরের গড় বনাঞ্চল। এছাড়া বিভিন্ন পাহাড় ও পাহাড়ের গা ঘেঁষে বয়ে চলা নদীগুলো অপরূপ সৌন্দর্য বিস্তার করে আছে।

বাংলার বুকে সূর্যাস্তের দৃশ্য: গোধূলির বিদায় বেলায় সূর্যাস্তে বাংলার বুকে ঘনিয়ে আসে সন্ধ্যা। সূর্যের অস্তরাগে বাংলা জননী ধারণ করে এক অপরূপ মূর্তি। রক্তিম আভা ছড়িয়ে নদী বা সমুদ্রের বুকে মিশে যায় সূর্য, আর বাংলার বুকে রেখে যায় সৌন্দর্যের ছোঁয়া।

বাঙালির জীবনে ঋতুবৈচিত্র্যের প্রভাব: বাংলার ঋতুবৈচিত্র্য আর বাঙালির জীবন একই সূত্রে গাঁথা। প্রতিটি ঋতুর স্বতন্ত্র প্রভাব রয়েছে বাঙালির জীবনে। ছয় ঋতুর রূপ, রস, গন্ধ, ছন্দ, নৈবেদ্য- সবই প্রত্যেক মানুষের মনকে প্রভাবিত করে। এ বাংলার ঋতুবৈচিত্র্য মানবকুলকে ভাবের দোলায় দোলায়িত করে অকৃত্রিমভাবে।

বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি: শরতের শেফালি, শীতের শিশিরভেজা ঘাস, বসন্তের পুষ্প-পল্লবে পাগলপারা হাওয়া একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না। এদেশের সর্বত্র একটা প্রাণচাঞ্চল্যের প্রচণ্ড ভাব পরিলক্ষিত হয়। কুটির ঘেরা পল্লি গ্রাম। মাঠে সবুজের সমারোহ। দিঘির পাড়ে সারি সারি তাল আর নারকেল গাছ। কবিগুরুর ভাষায়, "অবারিত মাঠ, গগনললাট চুমে তব পদধূলি/ ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রামগুলি। 

পল্লবঘন আম্রকানন রাখালের খেলাগেহ/স্তব্ধ অতল দীঘি-কালোজল নিশীথ শীতল স্নেহ।" এখানে বৈচিত্র্যের অভাব নেই। গাঙ্গেয় পলিমাটিসমৃদ্ধ এদেশের জমিতে সৃষ্টি হয়েছে বন বনানীর সুবিশাল এলাকা। সুন্দরবন হতে শুরু করে বিশ্বের অন্যতম ব-দ্বীপ বাংলাদেশের সিলেট, পার্বত্য চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি আর বান্দরবানে বনানীর সাথে মিলেছে পাহাড়ের অপূর্ব সৌন্দর্য। দুর্গম চিম্বুক আর সাজেক উপত্যকার অনাবিল সৌন্দর্য অনেকটাই অপরিচিত থেকে গেছে দেশবাসীর কাছে। রাঙামাটির কাপ্তাই লেক পাহাড়ের বুকে এক নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের উৎস।

নদীমাতৃক বৈচিত্র্য: এদেশের অসংখ্য নদ-নদী, খাল-বিল বাংলা প্রকৃতির অন্যতম আকর্ষণ। বিশ্বের আর কোনো দেশে এত নদ- নদী নেই। বাংলাদেশের নদীগুলোর ওপর দিয়ে চলাচল করে অসংখ্য নৌকা, লঞ্চ ও স্টিমার। পালতোলা নৌকা নদীর সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয়। মাঝির কণ্ঠে তখন ভাটিয়ালি- "একূল ওকূল দু'কূল ভাঙে উতাল পাতাল ঢেউরে/ বৈঠা হাতে আমি একা সাথে নাই মোর কেউরে।" 

নদীর জলে সূর্যের কিরণ পড়ে কখনো সোনালি, কখনো রুপালি বর্ণের আলিঙ্গন নদীর বুককে আকর্ষণীয় করে তোলে। নদীর ওপারের সবুজ-শ্যামল গ্রামগুলো ছবির মতো সৌন্দর্যের মায়ায় দুচোখে এনে দেয় বাংলার নদীর অপূর্ব রূপ।

উপসংহার: সত্যিই অসাধারণ সৌন্দর্যের অধিকারী আমাদের এ বাংলাদেশ বিচিত্র রূপের মাঝে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য লীলাভূমি। হিমালয়ের সুবিশাল বাঁধ কনকনে শীতকে আবদ্ধ করেছে। সাগর তার শীতল বায়ু দিয়ে মনের সতেজতা বাড়ায়। শীতে সবুজ ফসলের মাঠ ধারণ করে হলুদ বর্ণ। সরিষার ফুল সবুজকে পরাজিত করে। 

আর তাইতো গীতিকার লিখেছেন, "একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়/যেথায় কোকিল ডাকে কুহু দোয়েল ডাকে মুহু মুহু নদী যেথায় ছুটে চলে, আপন ঠিকানায়।"

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url