প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় - নতুন চুল গজানোর ঔষধ

সুন্দর ঘন কালো চুল আমরা কে বা না চাই। কিন্তু নানা কারণে প্রতিদিন আমাদের এই চুল পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যতদিন যাচ্ছে চুলগুলো যেন উধাও হয়ে যাচ্ছে। তখন আপনি খুঁজে বেড়াচ্ছেন কিভাবে নতুন চুল গজানো যায়। এই সমস্যা কি শুধু আপনার একার, নাকি এই সমস্যা এখন প্রায় সবার ঘরে ঘরে। 

প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়

আজকে আমরা জানবো নতুন চুল কিভাবে গজায়, মাথার সামনের চুল কিভাবে গজায়, কোন ভিটামিন চুল বোঝাতে সাহায্য করে, চুল গজানোর ওষুধ, তেল ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানবো। আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন, তাহলে আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন এবং নতুন চুল গজাতে কি করতে হয় সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় - নতুন চুল গজানোর ঔষধ 

মেয়েদের নতুন চুল গজানোর উপায় 

চুল নিয়ে সমস্যা কম বেশি আমাদের সবারই আছে। তাই চুল টিকিয়ে রাখতে চিন্তার শেষ নেই। যাদের চুল একটু পাতলা তারা নতুন করে কিভাবে চুল গজাবেন চলুন সে সম্পর্কে জেনে নিই- 

পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজের রস ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত হলেও এটি চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে খুবই কার্যকারী। প্রথমে কয়েকটা পেঁয়াজ নিয়ে ভালোভাবে বেটে নিবেন। এরপর তার সাথে কিছুটা পানি মিশাবেন। এভাবে পেস্ট তৈরি করে নিবেন। এরপরে এই পেস্ট টি ভালো মতো মাথায় লাগাবেন। লাগানোর ২৫ থেকে ৩০ মিনিট রাখার পর, হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দুই থেকে তিনবার করবেন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে। 

মেথি ও কালোজিরাঃ চুলের জন্য উপকারী আরেকটি উপাদান হলো মেথি। এটি নতুন চুল গজাতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। একটি পাত্রে পরিষ্কার পানি নিয়ে, সারারাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিবেন। এবার এই ব্লেন্ড করা মেথি সরাসরি চুলে ব্যবহার করেন। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। শুকিয়ে গেলে নরমাল কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিবেন। 

আরো পড়ুনঃ গরমে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া টিপস

আরো একটি উপায় রয়েছে, কালোজিরা ও মেথি প্রথমে রোধে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর এটি গুঁড়ো করে নিয়ে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিবেন। এবার এই তেলটি হালকা করে ফুটিয়ে নিবেন। ফুটানো তেল ঠান্ডা হয়ে গেলে, কাঁচের বোতলে করে সংগ্রহ করবেন। এরপর এই তেলটি সপ্তাহে তিনদিন ভালোভাবে চুলে লাগাবেন। 

নিম পাতাঃ ত্বকের বিভিন্ন রকমের সমস্যার সারাতে নিমপাতা বেশ কার্যকারী। এটা শুধু ত্বকের নয় চুলের যত্নেও অনেক কার্যকারী। কিছু নিমপাতা নিয়ে, আপনার চুল ধুতে যে পরিমাণ পানি লাগে সেই পরিমাণ পানি নিয়ে পানির মধ্যে নিমপাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিবেন।  এরপর পানিটি যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন বোতলে করে সংরক্ষণ করে রাখবেন। চুলে ভালোমতো শ্যাম্পু করার পরে, সপ্তাহে অন্ততপক্ষে এক দিন এই নিমপাতা ভেজানো পানি দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিবেন। এতে করে আপনার মাথায় যদি  কোন খুশকি থাকে তাহলে সেটা দূর হয়ে যাবে। আর নতুন চুল গজাবে এবং চুলের গোড়া মজবুত করবে। 

সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহারঃ এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে, যেটা আপনার স্ক্যাল্পের মৃত কোষগুলো ঝরে যেতে সাহায্য করবে। এই মৃত কোষগুলো আপনার চুলের গোড়াকে ব্লক করে, রাখে যার কারণে নতুন চুল গজাতে পারে না। এটি দূর করার জন্য আপনি সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। অল্প পরিমাণে শ্যাম্পু নিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিবেন। এরপরে পাঁচ থেকে দশ মিনিট রেখে, ভালোমতো ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি দূর করার জন্য আপনি ক্লিয়ার শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন, এটি অনেক কার্যকারী। 

প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায় 

অনেকের মাথার সামনের দিকে চুল পড়ে কপাল বড় হয়ে যাচ্ছে এবং টাক হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যায় আমরা অনেকেই ভুগি। চলুন জেনে নেই এই সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায়- 

নতুন চুল গজাতে তেল ম্যাসাজ

মাথার সামনে চুল গজাতে কয়েকটি তেল খুবই উপকারী, ক্যাস্টর অয়েল, ভিটামিন-ই ক্যাপসুল, নারিকেল তেল, রোজমেরি অয়েল। 

ক্যাস্টর অয়েলঃ চিকিৎসাকরা, যাদের ভুরু কম থাকে তাদের কোলেস্টের অয়েল ব্যবহার করতে বলেন, ভুরু মোটা করার জন্য। সুতরাং এটি যদি চুলে ব্যবহার করা হয়, তাহলে চুলো মোটা হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এজন্য দ্রুত ফল পেতে চুলে ক্যাস্টর অয়েল লাগানো যায়। ক্যাস্টর অয়েল অনেক ঘন তাই বেশি লাগানো উচিত না। চাইলে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে লাগাতে পারেন। তা না হলে ক্যাস্টর অয়েলের সাথে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল তেল মিশন। রাতে ভালো করে মাথায় লাগিয়ে নিবেন, পরের দিন গোসলের সময় শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে ধুয়ে ফেলবেন। এই তেল অনেক ঘন হওয়ার কারণে রোজ লাগানো যাবে না। সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই দিন লাগাবেন। 

রোজমেরি অয়েলঃ এই তেলের সঙ্গে তো আপনারা প্রায় সকলেই পরিচিত। এই তেল চুলের সমস্যার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকারী। এটা চুল পড়া কমায় ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। রোজমেরি এসেন্সিয়াল অয়েল। আপনি এর সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। এসেন্সিয়াল অয়েল কখনোই স্কিনের সরাসরি ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি অন্য কোন তেলের সঙ্গে মিশিয়ে তারপরে ব্যবহার করা উচিত। এজন্য এই তেল কে প্রথমে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিবেন, তারপরে মাথায় লাগাবেন। এই তেল ব্যবহার করার পরে, গোসল করার সময় শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দুটি ব্যবহার করবেন। তাহলে চুলের জন্য খুব ভালো কার্যকরী হবে । দুই চামচ নারিকেল তেল, দশ ফোঁটা রোজমেরী অয়েল মিশিয়ে নিয়ে ভালোভাবে মাসাজ করুন। এভাবে সপ্তাহে তিন দিন করুন দ্রুত ফল পাবেন। 

জবা ফুলঃ চুলের জন্য জবা ফুলের উপকারিতা অনেক। চুলের বৃদ্ধিতে এবং চুলকে কন্ডিশনিং করতে জবা ফুল অত্যন্ত কার্যকারী। জবা ফুল চুলের খুশকি, শুষ্কতা, জট দূর করে। সাথে চুলকে অনেক ঘন করে। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর অ্যামাইনো এসিড ও ভিটামিন-সি যা চুলের গোড়া মজবুত করে। 

প্রথমে জবা ফুল নিয়ে ভালো করে পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার ফুটানো পানি থেকে জবা ফুলগুলো ফেলে দিন। এরপর পানির মধ্যে কয়েক ফোটা লেবুর রস দিন। এটা শ্যাম্পু করার পর চুলে লাগান, তবে শ্যাম্পু করার পরে চুল আগে ভালো মতো শুকিয়ে নিবেন। তারপরে লাগাবেন.১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দুই থেকে তিনটি জবা ফুল, কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে আপনি এই উপকরণটি তৈরি করতে পারবেন। যখন শ্যাম্পু করবেন তখনই এটা করবেন। 

পেঁয়াজের রস এবং অ্যালোভেরা জেলঃ পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং সালফার। জাজুল বৃদ্ধি করতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং চুলকে পুষ্টিকর বানাতে সাহায্য করে। আর পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। অ্যালোভেরার জেল চুলের গ্রোথ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।পেঁয়াজের রস আর অ্যালোভেরা জেল দিয়ে পেস্ট তৈরি করে। যেখানে যেখানে চুল পড়ে গেছে বা যেখানে যেখানে চুল ফাঁকা হয়ে গেছে, সেই জায়গাতে লাগান। এক ঘন্টা লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে তিন দিন করেন, দেখবেন ভালো ফল পাবেন পাচ্ছেন। 

অলিভ অয়েল ও রসুনঃ রসুনের মধ্যে রয়েছে সালফার যা চুলের ফলিকলকে উদ্দীপিত করে।অলিভ ওয়েল তেলের সঙ্গে এক কোয়া রসুন খেঁতো করে হালকা গরম করে নিন। এরপর হালকা গরম তেল চুলে মাসাজ করুন। এটি করার ফলে আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং নতুন চুল গজাবে।সপ্তাহে দুইদিন করতে হবে। আর বিশেষভাবে খেয়াল রাখবেন যখন তেল লাগাবেন তখন যেন হাতের নখ আপনার মাথার মধ্যে না লাগে। আঙ্গুলের সাহায্যে আস্তে আস্তে ভালো করে আলতো ভাবে লাগাবেন। 

মধু-ডিম-আলু-লেবুঃ ডিমের কুসুম, মধু, আলুর রস এবং লেবু চুলের পুষ্টি বৃদ্ধিতে দারুন কাজ করে।চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন-বি, সি ও ই এর অনেক দরকার। ভিটামিন-সি স্ক্যাল্পে জমে থাকা ডেড সেলস সরিয়ে চুলের ফলিকলের মুখ ওপেন করে, যাতে নতুন চুল গজাতে পারে। একইভাবে প্রত্যেকটি ভিটামিন এর কাজ আছে। সপ্তাহে অন্তত একদিন এই উপকরণগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করবেন এবং সেটি ভালোভাবে চুলে লাগাবেন। ঘন্টাখানেকের মতো লাগিয়ে রাখার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলবেন। 

কোন ভিটামিন চুল গজাতে সাহায্য করে 

চুল পড়া এখন একটা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। এখন প্রায় আমাদের সকলেরই চুল পড়ে টাক হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই আছে যারা এখনো বিয়ে করেননি আর মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে। যার ফলে বিয়ে করতে লজ্জা পাচ্ছেন বা বিয়ে হচ্ছে না।  একবারও কি ভেবে দেখেছেন কোন ভিটামিনের অভাবে এই সমস্যাটি হচ্ছে। চলুন তাহলে জেনে নেই কোন ভিটামিনের অভাবে এই সমস্যাটি আমরা প্রতিনিয়ত ফেস করতেছি- 

আমরা জানি ভিটামিন-বি সমৃদ্ধ খাবার আমাদের চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু আমরা ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজনই বা খাই, বা কয়জনই বা জানি যে কোন কোন খাবারে ভিটামিন বি রয়েছে। চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য ভিটামিন-বি সমৃদ্ধ খাবার, খাবারের মেনুতে যোগ করতে হবে। 

ভিটামিন-বি ৭ এবং ভিটামিন-বি ১২ নতুন চুলের কোষ গঠনে সাহায্য করে। এটি পাশাপাশি চুল পড়ার সমস্যা কমায়, নতুন চুল গজাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিটামিন-বি সমৃদ্ধ কোন কোন খাবার খেলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি হবে তা সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। আসুন জেনে নেই কোন কোন খাবার চুলের পুষ্টি জোগাতে এবং চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে- 

ডিমঃ অনেকেই চুলের পরিচর্যার জন্য ডিম মেখে থাকেন। তবে রূপচর্চা বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেন ডিম চুলে লাগানোর পরিবর্তে, ডিম খাওয়া অনেক বেশি কার্যকারী। ডিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-বি এবং বায়োটিন। এই উপকরণ দুটি চুলের দ্রুত বৃদ্ধির পাশাপাশি চুল পড়া সমস্যা কমায়। চুলের ডগা ফাটা সমস্যা এবং চুল ভঙ্গুর হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। 

মাছঃ মাকারেল, স্যামন এসব মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন বি ১২।এই দুই উপকরণ মাথার তালুর অনেক খেয়াল রাখে। চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে, চুল পড়া আটকায়। চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও চুলের রুক্ষ ও শুষ্ক ভাব দূর করে। 

দুধঃ দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং বায়োটিন। এ দুই উপকরণ চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই দুগ্ধ যা প্রোডাক্ট বা দুধ খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। শুধু চুলের বৃদ্ধি নয় চুলের গঠন সুদৃঢ় করতেও সাহায্য করে দুধ। এছাড়াও দেহের আরো অন্যান্য শারীরিক গঠনে দুধ অত্যন্ত কার্যকারী একটি উপাদান। 

চিনা বাদামঃ চিনা বাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-ই, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুলকে স্বাস্থ্যকর এবং দ্রুত বৃদ্ধিতে চিনা বাদামের উপকারিতা অনেক। 

শজনে ডাঁটাঃ ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ শজনে ডাটা চুলের ফলিকল সুস্থ রাখে। দুপুরের খাবারের কিংবা ডাল সবজির সঙ্গে সজনে ডাটা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। 

শসাঃ শসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর সিলিকন ও সালফার। চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় দুটি উপাদান হল এই সিলিকন ও সালফার, যা চুলকে হাইড্রেট রাখে ও প্রবাহ দূর করে। 

তিল ও জিরাঃ চুলের বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি করে তিল ও জিরার বীজ। তিলের বীজের মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ ভরপুর, যা চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 

আমলাঃ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এ ফল চুল পাকা রোধ করে। এটি খুশকি প্রতিরোধ করতে অনেক সাহায্য করে। সকালে আমলা ও অ্যালোভেরা সেবন করলে, চুল দ্রুত গজাতে সাহায্য করে। 

মেথিঃ মেথি বীজ চুলের ওপর পড়া বাড়তি চাপ দূর করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে  ফাইটোয়েস্ট্রোজেন।  প্রতিদিন এক গ্লাস গুলানো মেথি খেলে শরীর ও চুল উভয়ে খুব ভালো থাকে। 

কারি পাতাঃ আয়রন এবং ফলিক এসিড সমৃদ্ধ এই পাতা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। চুলকে সুস্থ রাখতে ও চুল পাকা কমাতে এই পাতা অনেক কার্যকারী। প্রতিদিন সকালে যদি তিন থেকে চারটি কারি পাতা সেবন করা যায়, তাহলে চুল এবং শরীর ভালো থাকে। 

নতুন চুল গজানোর ঔষধ 

চুল পড়ার সমস্যার জন্য, নানা জন নানা রকম ওষুধ খাই, অনেক কিছু ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা জানি না কোনটা আমাদের জন্য সঠিক এবং কোনটা আমাদের জন্য ভুল। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য,  চিকিৎসকের কাছে থেকে সঠিক পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। চলুন আমরা সংক্ষেপে জেনে নেই, চুল পড়া বন্ধ করতে বা নতুন চুল গজাতে কোন ওষুধ উপকারী-

চিকিৎসকদের মতে চুল পড়ার চিকিৎসার জন্য এখন মাত্র দুটি ওষুধ প্রচলিত রয়েছে। একটি হচ্ছে  মিনোক্সিডিল যা পুরুষ ও মহিলা সবাই ব্যবহার করতে পারবেন, আর আরেকটি হচ্ছে ফিনাস্টেরাইড যা শুধু  পুরুষেরা ব্যবহার করতে পারবেন। 

তবে এই দুটি ওষুধের প্রতিটি কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, এবং সবার ক্ষেত্রে এগুলো সমান কার্যকর হবে না বা হয় না। তাই টাকের সমস্যায় আক্রান্তরা প্রায় চুল প্রতিস্থাপনের মতো পন্থায় আশ্রয় নেন।  তবে বিজ্ঞানীরা বলেন চুল পড়ার এমন কোন চিকিৎসা নেই, যা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। 

ডাক্তার হকশ বলেন, সাইক্লোস্পোরিন চুল পড়ার চিকিৎসায় কার্যকর এবং নিরাপদ কিনা তা বের করতে একটি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা দরকার হবে। 

আপনি যদি নিজে নিজেই একটু চুলের যত্ন নেন, তাহলে আপনি আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন এবং আপনার নতুন চুল গজাবে। আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন, তাহলে আপনি জানতে পারবেন। কিভাবে চুল পড়া বন্ধ করতে হয়, নতুন চুল গজাতে হয় এবং কোন কোন খাবার, খাবার মেনুতে যোগ করলে চুল পড়া বন্ধ হবে। এবং চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি পাবে। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি আপনার জন্য একটু হলেও উপকারী হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url