গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ - গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়

প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে মেয়েরা গর্ভবতী হয় বা গর্ভধারণ করে। প্রতিটি মেয়েরই জানা প্রয়োজন গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে। এই পোস্টের মধ্যে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। আবার অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ - গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়

গর্ভবতী হওয়ার সকল ধরনের লক্ষণ এবং গর্ভবতী হওয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত সকল টপিক নিয়ে আজকে আমাদের এই পোস্টের আলোচনা। প্রেগনেন্সির সময় পিরিয়ড মিস হয় কখন বা পিরিয়ড মিস হয়ে গেলে কি গর্ভবতী হয় কিনা, সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্র

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

নিয়মিত মাসিক হয় এমন নারীদের জন্য মাসিক হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়া হলো গর্ভ অবস্থার প্রথম লক্ষণ। আবার কখনো কখনো রক্তস্রাব হতে পারে। এতে হালকা মাসিক বা দাগ কাটার মত রক্ত দেখা যায়। আপনি যদি গর্ভ অবস্থায় এমন রক্তচাপ দেখতে পান তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

গর্ভাবস্থার প্রথমদিকে ক্লান্তি, বমি বমি ভাব বা ঘন ঘন প্রস্রাবের উদ্বেগ বেড়ে যাবে। এছাড়াও গর্ব অবস্থায় প্রথম দিকের সপ্তাহগুলোতে হরমোনের পরিবর্তন আপনার পুরো শরীরকে প্রভাবিত করবে। তবে প্রথম তিন মাস আপনি কিছু লক্ষণ অনুভব করতে পারবেন। লক্ষণ গুলো হল-

  • মাথা ব্যথা করা
  • পায়ে খিল ধরা
  • বুক জ্বালা করা
  • মাথা ঘুরবে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া
  • মুখে অদ্ভুত স্বাদ পাওয়া
  • স্তর নরম হয়ে যাওয়া
  • ঘ্রাণ শক্তিপক্ষ হবে
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
  • বমি বমি ভাব বা বমি
  • অত্যন্ত ক্লান্তি বোধ হওয়া
  • শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি হবে
  • চাপ দিলে স্তনে ব্যথা অনুভব হবে
  • যোনিপথ দিয়ে হালকা রক্তপাত
  • মেজাজ পরিবর্তন হওয়া
  • ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়া
  • পিঠের নিচের অংশে ব্যথা হওয়া
  • নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি আকর্ষণ হওয়া
  • সাদা স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যাবে (তবে সবার ক্ষেত্রে নয়)
  • নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি নতুন করে অপছন্দ তৈরি হবে

মাসিক না হলে কি প্রেগন্যান্ট হয়

আপনার যদি নিয়মিত মাসিক হতে হতে বন্ধ হয়ে যায়, তখন অবশ্যই গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো আপনার সঙ্গে মিলিয়ে নিবেন। কেননা গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক প্রথম যে লক্ষণ তা হল নিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিক হতে হতে বন্ধ হয়ে যাওয়া। তাই আপনার মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিবেন।

মাসিক বন্ধ হলেই যে প্রেগন্যান্ট হয়ে যায় এমনটা কিন্তু নয়, যদি আপনার মাসিক বন্ধ হয় তাহলে আপনি প্রথমে প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ গুলি আপনার সঙ্গে মিলিয়ে নিবেন। যদি প্রেগন্যান্ট হওয়ার কোন লক্ষণ আপনার সঙ্গে না মিলে তাহলে আপনি চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নিবেন। কেননা মাসে বন্ধ হওয়ার অন্য কোন শারীরিক কারণে থাকতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।

গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়

আপনারা তো ইতিমধ্যে উপরে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো জেনে গেছেন। গর্ভধারণ করার প্রথম লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি লক্ষণ হলো বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া। স্বাভাবিকভাবেই প্রথমবার গর্ভবতী হলে বা দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হলেও এই বমি বমি ভাব সবার ক্ষেত্রে দেখা দেয়।

সাধারণত গর্ভবতী হওয়ার ষষ্ঠ সপ্তাহের দিকে বমি হওয়া শুরু হয়। এই সময় থেকে শুরু করে সামনের সপ্তাহগুলোতেও বমি বমি ভাব থাকতে পারে বা হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ১২ তম সপ্তাহের পর থেমে যায়, এর কারণে কিছুই খেতে ইচ্ছা করে না বিশেষত সকালের দিকে। যদি স্বাভাবিক খাবার খেতে না পারেন তাহলে শুকনো খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়

সহবাসের পরে যদি নির্দিষ্ট সময়ে মাসিক না হয় তাহলে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলোর সঙ্গে নিজের লক্ষণ গুলো মিলিয়ে নিবেন। একজন নারীর পেগনেন্ট হওয়ার পরের মাস থেকে তার পিরিয়ড স্বাভাবিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। মানে নির্দিষ্ট সময়ে তার আর মাসিক হয় না।

আবার কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে এমন হয় যে প্রেগন্যান্ট হওয়ার পরেও মাসিক হয়। তবে এটা শারীরিক সমস্যার কারণে হয়। এর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গর্ভবতী হলে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। সহবাসের পর নির্দিষ্ট সময়ে যদি মাসিক না হয়, আর গর্ভবতী হওয়ার কিছু লক্ষণের সঙ্গে যদি আপনার লক্ষণ গুলো মিলে যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন।

পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে প্রেগন্যান্সি টেস্ট

আপনার মাসিক হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি আবার মাসিক না হয় এবং আপনি যদি এর মধ্যে সহবাস করে থাকেন আর আপনি যদি সহবাসের সময় কনডম, পিল বা বড়ি ও ইনজেকশন ব্যবহার না করেন আর আপনার যদি মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই প্রেগনেন্সি টেস্ট করবেন।

প্রেগন্যান্সি টেস্টে সাধারণত গর্ভবতী নারীদের প্রস্রাবে একটি হরমোনের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়। গর্ভবতী নারীদের প্রস্রাবে এই হরমোনের পরিমাণ শুরুর দিকে অল্প পরিমাণে থাকে। তাই গর্ভধারণের একদম শুরুর দিকে অথবা সহবাসের পর পরই এই টেস্ট করলে সাধারণত হরমোনের উপস্থিতি সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয় না।

এজন্য সহবাসের পর কমপক্ষে ২১ দিন অথবা পরবর্তী মাসিকের নির্দিষ্ট তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তাহলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়। তবে বর্তমান সময়ে কিছু আধুনিক প্রেগনেন্সি টেস্টের মাধ্যমে পিরিয়ডের নির্দিষ্ট তারিখ আসার অনেক আগে, এমনকি গর্ভধারণের নয় দিনের মধ্যেই আপনি গর্ভধারণ করেছেন কিনা সেটি নিশ্চিত ভাবে নির্ণয় করা যায়।

প্রেগন্যান্ট হওয়ার কত দিন পর মাসিক বন্ধ হয়

সহবাসের পরে যদি নির্দিষ্ট সময়ে মাসিক না হয় তাহলে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলোর সঙ্গে নিজের লক্ষণ গুলো মিলিয়ে নিবেন। একজন নারীর পেগনেন্ট হওয়ার পরের মাস থেকে তার পিরিয়ড স্বাভাবিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। মানে নির্দিষ্ট সময়ে তার আর মাসিক হয় না।

আবার কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে এমন হয় যে প্রেগন্যান্ট হওয়ার পরেও মাসিক হয়। তবে এটা শারীরিক সমস্যার কারণে হয়। এর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গর্ভবতী হলে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। সহবাসের পর নির্দিষ্ট সময়ে যদি মাসিক না হয়, আর গর্ভবতী হওয়ার কিছু লক্ষণের সঙ্গে যদি আপনার লক্ষণ গুলো মিলে যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন।

পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

আপনার সহবাস করা যদি সঠিকভাবে হয় এবং যদি আপনার যোনি তে স্পাম চলে যায়। তাহলে পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে এই গর্ভবতী হওয়ার কিছু লক্ষণ আপনার মাঝে দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী হওয়ার সকল লক্ষণগুলো তো আপনার ইতিমধ্যে উপরে জেনে গেছেন।

তবে মিস করার আগে থেকেই প্রথম সপ্তাহে ৮০ শতাংশ মহিলা বমির সমস্যায় ভুগে থাকেন। আবার ৫০ শতাংশ মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ব অবস্থায় ছয় সপ্তাহ বা তার আগে থেকে বমি অনুভব হতে থাকে। আপনার যদি সহবাস সঠিক নিয়মে হয় তাহলে ফিরে ওর মিস হওয়ার আগেও গর্ভধারণের একটা লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়

সহবাসের পর কমপক্ষে ২১ দিন অথবা পরবর্তী মাসিকের নির্দিষ্ট তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তাহলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়। তবে বর্তমান সময়ে কিছু আধুনিক প্রেগনেন্সি টেস্টের মাধ্যমে পিরিয়ডের নির্দিষ্ট তারিখ আসার অনেক আগে, এমনকি গর্ভধারণের নয় দিনের মধ্যেই আপনি গর্ভধারণ করেছেন কিনা সেটি নিশ্চিত ভাবে নির্ণয় করা যায়।

এক কথায় বলা যায় আপনি যদি ভালো রেজাল্ট পেতে চান তাহলে অবশ্যই সহবাসের ২১ দিন পরে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করবেন। আর এখন আধুনিক কিছু প্রযুক্তি দ্বারা ৯ দিন পরেই রেজাল্ট পাওয়া যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url