চুলকানি কেন হয় - চুলকানি দূর করার ক্রিম

বর্তমান সময়ে এসে আমরা সকলেই চুলকানি নিয়ে এক অসহনীয় অবস্থার মধ্যে পড়ি। তাই জানা প্রয়োজন চুলকানি কেন হয়, এছাড়াও জানতে হবে চুলকানি কিভাবে দূর করতে হয়। আমরা অনেক সময় দ্বিধার মধ্যে পড়ে যাই চুলকানি দূর করার জন্য কোন ক্রিম ভালো সেই বিষয়ে নিয়ে। 

চুলকানি কেন হয় - চুলকানি দূর করার ক্রিম

আজকের এই পোস্টে চুলকানি সংক্রান্ত সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে যেমন, চুলকানি দূর করার ঔষধ, চুলকানি দূর করার ক্রিম, চুলকানি প্রতিরোধের উপায়, চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়, প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি কেন হয়। এই সকল বিষয়গুলো জানতে পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

সূচিপত্র

চুলকানি কেন হয়

বর্তমান সময়ে শারীরিক সমস্যার মধ্যে সবথেকে বড় একটি সমস্যা হচ্ছে চুলকানি। চুলকানি মূলত একটা আনইউজুয়াল সিচুয়েশন, যেটা আমাকে বা আপনাকে বাধ্য করবে আপনার শরীরে স্কেস করতে, চামড়াকে ঘষতে। চুলকানি মূলত এরকমই অস্বস্তিকর একটি রোগ। তাই চুলকানি থেকে বাঁচতে হলে জানতে হবে, চুলকানি কেন হয়। চুলকানি মূলত যেসব কারণে হয়ে থাকে-

সোরিয়াসিসঃ সোরিয়াসিস মূলত ত্বকের একটি প্রদাহজনিত রোগ। এই রোগের কারণে ত্বকে চুলকানি হয়। কম বেশি সকল বয়সী মানুষের এ রোগ হতে পারে। এটি কোন সংক্রামক রোগ নয়, কাজেই সংস্পর্শে মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে না। এই রোগের যদি ঠিকমতো চিকিৎসা না করা হয় তাহলে আরো বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই কোন রকমের অবহেলা করা যাবে না।

কিডনির সমস্যাঃ কিডনি মূলত শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত তেল বের করে খনিজ লবণের ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন কিডনি রক্তের পুষ্টি উপাদান ও খনিজ লবণের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে না, তখন ত্বক শুষ্ক ও ফেটে গিয়ে ত্বকে চুলকানি ও র‌্যাশ তৈরি হতে পারে। অর্থাৎ বলা যায় যে কিডনি যেহেতু শরীরের বর্জ্য পদার্থ দূর করে, তাই কিডনির সমস্যা হলে চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

স্ক্যাবিজঃ স্ক্যাবিজ মূলত এক ধরনের চর্মরোগ, এটি সাধারণত জীবাণু দ্বারা সংগঠিত হয়ে থাকে। এর প্রধান লক্ষণ হলো শরীরের চুলকানি হয় ও গুটি গুটি ‌র‌্যাশ তৈরি হয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে মূলত চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এটা মূলত এক ধরনের চুলকানি হিসেবে পরিচিত। এ রোগের তীব্রতা রাতে অনেক বেশি বেড়ে যায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে।

লিভারের সমস্যা হলেঃ একটি অসুস্থ লিভার শরীরে সর্বত্র চুলকানি সৃষ্টি করে। যেমন ধরেন, শরীরের যদি জন্ডিস দেখা যায় আর সঙ্গে চুলকানি হয়, তাহলে তখন বুঝবেন লিভারের সমস্যার কারণেই এটা হচ্ছে।মূলত শরীরের ভেতরের অংশে প্রথমে আক্রান্ত হয় এরপরে শরীরের বাহিরে সেই রোগের ছাপ দেখা যায়।

ফাঙ্গালঃ এটি মূলত এক ধরনের সংক্রামক রোগ। আমাদের আবহাওয়া অনেক জীবাণু বসবাস করে যা আমাদের নিঃশ্বাস প্রশাসকের মধ্য দিয়ে ত্বকে প্রবেশ করে। সাধারণত শরীরের একটি নির্দিষ্ট অঙ্গ প্রথমে আক্রান্ত হয়। যদি তৎক্ষণাৎ দ্রুত চিকিৎসা না করা হয় তাহলে এই রোগ পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আস্তে আস্তে আশেপাশে থাকা লোকজনেরও এই রোগ হতে দেখা যায়।

এইসব কারণ ছাড়াও আরো বিশেষ কয়েকটি কারণে চুলকানি হয়ে থাকে। মূলত আর যেসব কারণে শরীরে চুলকানি দেখা দেয় বা চুলকানি হয়ে থাকে, সেগুলো হচ্ছে-

  • রক্তশূন্যতা দেখা দিলে
  • ডায়াবেটিস থাকলে
  • হরমোনের সমস্যা থাকলে
  • নোংরা পানির কারণে
  • ত্বক খুব শুষ্ক হলে, বিশেষ করে ত্বকের মশ্চারাইজার কমে গেলে। 

চুলকানি দূর করার ঔষধ

চুলকানি দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চুলকানির ধরন বুঝে তারপরে সেই চুলকানি ভালো করার জন্য ওষুধ দিয়ে থাকেন। অর্থাৎ বোঝা যায় যে চুলকানির বিভিন্ন ধরন রয়েছে এবং এই ধরন অনুসারে চুলকানির ঔষধ ও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলো শুধু মাত্র চুলকানির জন্যই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেই গ্রুপের ওষুধ বা সেই ওষুধ গুলো খেলে চুলকানি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বিশেষভাবে একটি ঔষধ চুলকানি দূর করার ঔষধ হিসেবে পরিচিত, ঔষধ টি হচ্ছে- ওকাসেট ১০ এম জি ট্যাবলেট (Okacet 10 MG Tablet)। এই ওষুধটি শুধুমাত্র চুলকানির জন্যই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।এছাড়াও আরো বিশেষ কিছু ঔষধ এবং ক্রিম রয়েছে যেগুলো চুলকানি দূর করতে বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। চুলকানি দূর করার ওষুধগুলো হচ্ছে-

  • শেডনো (Sedno)
  • সিটিরজাইন (Cetrizine)
  • লরাটাডিন (Loratadine)
  • ডিফেনহাইড্রামাইন (Diphenhydramine)
  • ফ্লুগাল (৫০/১০০) ট্যাবলেট (Flugal 50/100 Tablet)
  • আটারাক্স ২৫ এমজি (Atarax 25mg)
  • এফান ১% ক্রিম (Afun Cream)
  • ডার্মা ৫০ এমজি (Darma 50 mg)
  • স্ক্যাবিলিস ক্রিম (Scabilice Cream)
  • ক্লোবেটাসল ক্রিম (Clobetasol Cream)
  • হাইড্রোকরটিসন ক্রিম (Hydrocortisone Cream)
  • বিটামেশন সি এল ক্রিম (Betameson Cl Cream)
  • ফানজিডাল-এইচ সি ক্রীম (Fungidal-HC Cream)
  • ওকাসেট ১০ এম জি ট্যাবলেট (Okacet 10 MG Tablet)
  • মেট্রোনিডাজল ভ্যাজাইনাল জেল (Metronidazole Vaginal Gel )

চুলকানি দূর করার ক্রিম

চুলকানি খুবই বিরক্তি কর অসহনীয় একটি রোগ। চুলকানি কেন হয় এই সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে উপরে জেনে গেছি। চুলকানি দূর করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করে থাকি। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন ধরনের চুলকানির দূর করার ক্রিম ব্যবহার করি। কিন্তু আসলে কি সব ধরনের ক্রিম সব জায়গায় কি কাজ করে।

তাই আজকে জানবো চুলকানি দূর করার ক্রিম সম্পর্কে। কোন জায়গার চুলকানি দূর করতে হলে কোন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে সেই সম্পর্কে জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই দেরি না করে জেনে নিন চুলকানি দূর করার বিভিন্ন ক্রিম সম্পর্কে-

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিমঃ পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য বিভিন্ন ক্রিম রয়েছে যে ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে হবে খুব সতর্কতার সহিত। আমরা শুধুমাত্র আপনাদেরকে প্রসঙ্গের চুলকানি দূর করার নাম জানিয়ে দেব। কিন্তু আপনাদের চুলকানির অবস্থাটা কি সেটা অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ওর থেকে জেনে তারপরে ব্যবহার করবেন। পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য যে ক্রিমগুলো ব্যবহার করবেন-

  • Lotrimin cream
  • Cortisone cream
  • Micatin cream
  • Fungiderm Cream
  • Afun cream
  • Lamisil cream
  • বিলানেক্স ২০ ক্রিম

যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমঃ যোনি শরীরের অত্যন্ত সেনসিটিভ একটি স্থান। এই স্থানে বিভিন্ন কারণে চুলকানি হতে পারে। তবে বেশি হয় যদি এইখানে অপরিষ্কার থাকে তাহলে। আর মেয়েদের কিছু সমস্যা থাকে যেগুলোর কারণে এখানে আরো বেশি চুলকানি হয়। তাই যোনির চুলকানি দূর করার জন্য আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে থাকি। আবার অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করি। কিন্তু প্রকৃতির পক্ষে যোনির চুলকানি দূর করা ক্রিম হচ্ছে-

  • Clobestasol Cream
  • Pevisone Cream
  • Hydrocortisone Cream
  • Metronidazole Vaginal Gel

দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিমঃ দাদ চুলকানি অত্যন্ত মারাত্মক প্রকারের এক চুলকানি। এই চুলকানি একবার হলে সহজে আর ভালো হতে চায় না। যে স্থানে এই চুলকানি হয় সে স্থানে তো অধিক পরিমাণে চুলকায় সেই সাথে অত্যন্ত জ্বালাপোড়া করে। দাদ চুলকানি দূর করার জন্য যে ক্রিম ব্যবহার করবেন তা হচ্ছে-

  • Gacozema
  • Pevisone

চুলকানি দূর করার ক্রিম স্কয়ারঃ চুলকানি যেহেতু অস্বস্তিকর এবং বিরক্তি করে একটি রোগ। তাই শরীরের চুলকানি দূর করার জন্য অবশ্যই অথরিটিক ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। আর অথরিটি ক্রিম বলতে আমরা স্কয়ার কোম্পানির ক্রিম বুঝে থাকি। চুলকানি দূর করার জন্য স্কয়ার কোম্পানির যে ক্রিম ব্যবহার করবেন-

  • Ezex Cream
  • Togent Cream
  • Dermasol Plus

অন্ডকোষে চুলকানি দূর করার ক্রিমঃ অন্ডকোষে চুলকানি দূর করার জন্য আপনি কোন ক্রিম ব্যবহার করবেন তা নির্ধারণ করবে আপনার চুলকানি ধরন অনুযায়ী। অন্ডকোষে চুলকানি দূর করার জন্য ক্রিম ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। কেননা এসব সেনসিটিভ জায়গায় কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হয়। এছাড়া অন্ডকোষে চুলকানি দূর করার জন্য যেসব ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন, তা হচ্ছে-

  • স্টেরয়েড ক্রিম
  • অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম
  • অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম

গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিমঃ প্রতিটি মানুষের এবং পশু পাখির সকলের ক্ষেত্রে গোপনাঙ্গ অত্যন্ত সেনসিটিভ জায়গা। এই জায়গায় কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করার আগে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য যে ক্রিম ব্যবহার করবেন, তা হচ্ছে-

  • ফানজিডাল এইচ সি ক্রিম
  • Afun- এফান ১% ক্রিম
  • ক্লট্রিমাজোল ১% ক্রিম

মুখের চুলকানি দূর করার ক্রিমঃ মুখের চামড়া অত্যন্ত মলিন হয়। এজন্য মুখের চুলকানি দূর করার জন্য সব ধরনের ক্রিম ব্যবহার করা যায় না। মুখের চুলকানি দূর করতে হলে ক্রিমের পিএইচ এর মাত্রা ঠিক রয়েছে কিনা সেটি জেনে শুনে ব্যবহার করতে হয়। মুখের চুলকানি দূর করার জন্য যে ক্রিম ব্যবহার করবেন-

  • বেটনাভেট সি এল
  • ফানজিডাল এইচ সি

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিমঃ রানের চিপায় চুলকানি হলে যে কি পরিমান অস্বস্তিকর অনুভূতি হয় তা শুধু তারাই বুঝতে পারেন যাদের রানের চিপায় চুলকানি হয়েছে। রানের চিপায় থাকা চুলকানি দূর করার জন্য যে ক্রিম ব্যবহার করবেন তা হচ্ছে-

  • Darmasol N
  • Pevisone

চুলকানি প্রতিরোধের উপায়

আমাদের শরীর প্রতিনিয়ত ক্ষতিকর বস্তুকে প্রতিরোধের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা করে থাকে। এই প্রচেষ্টাকে রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়া বলে। আমাদের শরীর বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ করতে সক্ষম হলেও চুলকানি বা এলার্জি জাতীয় রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়ে উঠতে পারে না। কেননা চুলকানি মূলত এক ধরনের পানি-বাহি রোগ।

চুলকানির মতো অস্বস্তিকর অনুভূতি খুব কম অসুখেই রয়েছে। ত্বকের বেশিরভাগ চুলকানিই নিরীহ প্রকৃতির হয়ে থাকে। ত্বকের শুষ্কতা অথবা পোকামাকড়ের কামড়ের মতো সাধারণ কারণে ত্বকে চুলকানি হতে পারে। ত্বকের শুষ্কতা ও কিছু মারাত্মক রোগের কারণেও চুলকানি হতে পারে।

আপনারা তো ইতিমধ্যে ওপরে জেনে গেছেন চুলকানি কেন হয়। চুলকানি যেহেতু হয়েছে তাহলে এর প্রতিকার বা প্রতিরোধ করতে হবে। চুলকানি প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমে চুলকানি প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে ভালোমতো জানতে হবে। চলুন দেরি না করে জেনে নিই চুলকানি প্রতিরোধে উপায়-

  • চুলকানি প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমেই আপনাকে যেটি করতে হবে তা হচ্ছে, ত্বকের হাইড্রেশনের জন্য অলিভ অয়েল বা কোকোনাট অয়েল ব্যবহার করতে হবে। প্রতিনিয়ত এই তেল শরীরে মাখতে হবে, এতে করে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়ে যাবে।
  • চুলকানি প্রতিরোধ করতে গোসলের পানিতে ওটমিল বা স্যাভলন মিশাতে পারেন। এগুলো যদি পানির সঙ্গে মিশে সেই পানি দিয়ে গোসল করেন তাহলে চুলকানি আক্রমণ করতে পারেনা। এগুলো মিশালে পানিতে থাকা জীবাণু মরে যায়। যার ফলে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে চুলকানি হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।
  • চুলকানি প্রতিরোধে ময়লা পানি থেকে সর্বদা দূরে থাকতে হবে। কেননা ময়লা পানি হচ্ছে চুলকানি হওয়ার মেন উৎপত্তিস্থল। তাই চুলকানি প্রতিরোধ করতে হলে ময়লা পানি থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • কিছু কিছু ক্ষেত্রে চুলকানি বাহিরে থেকে নয় শরীরের ভিতর থেকে হতে পারে। যেমনটা লিভারের সমস্যা, রক্তের সমস্যা, স্ক্যাবিজ ইত্যাদি সমস্যার কারণে শরীরের ভিতর থেকে চুলকানি হতে পারে।এক্ষেত্রে ভালোমতো চেকআপ করে চিকিৎসা নিতে হবে।
  • শীতকালে ত্বকের চুলকানি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ ভিটামিন ডি এর ঘাটতি। এজন্য শীতকালে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। আর শরীরে যেন কোন ভাবে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি না হয় সেদিকে সর্বদা নজর রাখতে হবে।
  • আর যদি চুলকানি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে চুলকানি কমাতে বেকিং সোডা পানির সঙ্গে মিশিয়ে গোসল করতে হবে। এতে করে চুলকানি অনেকটা কমে যাবে। বেকিং সোডা মূলত ত্বকের সারফেসের এসিডকে নিষ্ক্রিয় করে প্রদাহ কমায় ও পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে ন্যাচারাল এন্টিসেপ্টিক হিসেবে বিশেষভাবে কাজ করে।

চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

পার্মানেন্ট চুলকানি বা এলার্জি ছাড়াও হঠাৎ হঠাৎ করে হাত পা ভীষণ ভাবে চুলকাতে থাকে। মানুষের মধ্যে হঠাৎ করে চুলকানি শুরু হয়ে যাওয়া কি যে একটি অস্বস্তিকর অবস্থা, এটা শুধু তারাই বুঝতে পারেন যারা এই অবস্থাটা ফেস করেন। সংবেদনশীল ত্বক যাদের তাদের তো চুলকাতে চুলকাতে একদম লাল হয়ে যায়, মনে হয় এই বুঝে এখান থেকে রক্ত পড়বে।

চুলকানি কেন হয় এ বিষয়ে তো আপনারা ইতিমধ্যে করে জেনে গেছেন। আর চুলকানি যেহেতু একটি অস্বস্তিকর রোগ সেহেতু এটি দূর করতেই হবে। চুলকানি দূর করতে হলে প্রথমে চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। আসুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেই চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় এগুলো কি-

  • পেট্রোলিয়াম জেলিঃ আপনার ত্বক যদি সেনসিটিভ হয় অর্থাৎ আপনি যদি সেনসিটিভ ত্বকের অধিকারী হন তাহলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। হঠাৎ করে চুলকানি বা শরীরের যে জায়গায় চুলকানি রয়েছে আপনি সেই জায়গায় পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাবেন।এটি যেহেতু সবার ঘরেই থাকে, ফলে যেকোনো সময় আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।
  • অ্যালোভেরাঃ রূপচর্চায় অ্যালোভেরার কোন তুলনা নেই। ঠিক তেমনি ভাবে চুলকানি দূর করতে আলোভেরা অত্যন্ত কার্যকারী। একটি তাজা অ্যালোভেরার পাতা থেকে রস বের করে যে জায়গায় চুলকানি সেই স্থানে লাগাবেন। দেখবেন দ্রুত চুলকানি কমে যাবে।
  • নারকেল তেলঃ নারকেল তেল ত্বকে ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ একটি উপাদান। অনেক মানুষের ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে থাকে। যার ফলে ত্বকে চুলকানি তৈরি হয়। এই চুলকানি দূর করার জন্য প্রতিনিয়ত ত্বকে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারের ফলে শরীরে হওয়া চুলকানি দূর হয়ে যায়।
  • অলিভ অয়েলঃ এই তেলও নারিকেল তেলের মত বিশেষ কার্যকারী। সারা শরীরে যদি চুলকানি হয় তাহলে আপনি এই তেল সারা শরীরে ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না এটা আমরা সকলেই জানি। শুষ্ক ত্বকের চুলকানি দূর করতে এই তেল অধিক কার্যকারী।
  • বেকিং সোডাঃ চুলকানি দূর করতে বেকিং সোডা অনেক বেশি কার্যকারী। পানি আর বেকিং সোডা পরিমাণ মতো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিয়ে ত্বকের যে জায়গায় চুলকানি রয়েছে সেই জায়গায় লাগাতে পারেন। এছাড়াও গোসলের পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করলে চুলকানি আস্তে আস্তে দূর হয়ে যায়।
  • লেবুঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুতে রয়েছে ব্লিচিং উপাদান যা ত্বকের চুলকানি রোধ করতে বিশেষভাবে কাজ করে। ত্বকের যে স্থানে চুলকানি অনুভব হবে সেই স্থানে লেবুর রস লাগিয়ে শুকিয়ে নিবেন। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখবেন চুলকানি একদম গায়েব হয়ে গেছে।
  • ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারঃ শীতকালে চুলকানির আশঙ্কা একটু বেড়ে যায়। কেননা এই সময়টাতে ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে কম পরিমাণে থাকে অর্থাৎ ভিটামিন ডি আমরা কম পেয়ে থাকি। শরীরে ভিটামিন ডি এর কোন ঘাটতি রাখা যাবে না, এই জন্য শীতকালে বেশি বেশি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে।

প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি কেন হয়

যতগুলো রোগ রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে অস্বস্তিকর রোগ হয়তো চুলকানি। আর এই চুলকানি যদি হয় প্রসবের রাস্তায় বা যৌনাঙ্গের আশেপাশে তাহলে তো এর থেকে অস্বস্তিকর আর কিছুই নেই। যাদের চুলকানি এই জায়গাগুলোতে হয় শুধুমাত্র তারাই ফেস করেন যে এটা কেমন অসস্তিকর একটি অবস্থা।

প্রস্রাবের রাস্তায় হওয়া চুলকানি দূর করতে হলে ওপরে বর্ণনা করা উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারেন। এছাড়াও জানা প্রয়োজন প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি কেন হয়, আমরা যদি আগে থেকেই জেনে যাই যে চুলকানিটা কেন হচ্ছে তাহলে তো আর চুলকানি নিয়ে আমাদের অস্বস্তিকর অবস্থা ফেস করতে হবে না।

শরীরের অন্যান্য অংশে যেভাবে চুলকানি হয়ে থাকে, প্রস্রাবের রাস্তায় ঠিক ওই কারণগুলোর জন্য হয়ে থাকে, এছাড়াও আরো কিছু কারণ রয়েছে যার কারণে প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি হয়। প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি কেন হয় সেগুলো হচ্ছে-

  • স্থূলতার কারণে
  • টাইট জামা-কাপড় পরিধান করলে
  • যৌনাঙ্গের চুল কাটা বাদ তোলার জন্য ক্রিম ব্যবহার করলে
  • যৌনাঙ্গের চুল কাটার সময় তার গড়ায় সংক্রমণ হলে
  • ত্বকের ভাঁজের ঘর্ষণ এবং ঘাম গোপনাঙ্গে জমে থাকার ফলে
  • এছাড়াও নারী-পুরুষের গোপনাঙ্গের কিছু আলাদা সমস্যা রয়েছে যেগুলোর কারণেও হয়ে থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SM TECHY এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url